
হাফিজুর রহমান: কালিগঞ্জ উপজেলার সদর হতে ১২টি ইউনিয়নের সংযোগ সড়ক গুলোর বেহাল দশা দীর্ঘদিনের। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে মহা দূর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে এ সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের চালক, যাত্রী, সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। কালীগঞ্জ হতে কুশুলিয়া, কৃষ্ণনগর, ঝাপালী, ভাড়াশিমলা, হাসপাতাল রোড, টার্মিনাল, তারালী সড়কের পন্যবাহী গাড়ীর চালক যাত্রী ও পথচারীরা প্রতিদিন করোনার ঝুঁকি নিয়ে শত শত যানবাহন চলাচল করছে। ভাঙ্গা এই সড়কে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। ভাঙ্গা, কাঁদা আর গর্ত দেখেই অনেকেই উন্নয়নের ছোয়া নিয়ে যুদ্ধ বিদ্ধস্ত দেশের সঙ্গে তুলনা করেছেন। আর অধিকাংশ এই রাস্তা গুলোর সর্বনাশের জন্য ইট ভাটার গাড়ি কে দায়ী করেছেন। ঠেকরা গ্রামের জামাল, নজরুল, মামুন, গোবিন্দপুর গ্রামের ইসলাম, শহিদ, দাঁদপুর গ্রামের খালিদ, রাজু শওকত সহ একাধিক ব্যক্তি বলেন উপজেলার বিভিন্ন ইট ভাটার মালিকদের ভাটার পরিবহনের কারণে উপজেলা হতে বিভিন্ন ইউনিয়নের সড়ক গুলোর সর্বনাশ হয়েছে। ট্রাক, ড্রাম্পার, ট্রলি থেকে মাটি পড়ার কারণে বৃষ্টিতে পুরা রাস্তাটি কর্দমক্ত হয়ে গেছে। এতে করে রাস্তাটি চলাচলের প্রায় অযোগ্য হয়ে পড়ায় দূর্ভোগ পোহাচ্ছে সাধারণ মানুষ। কালিগঞ্জ হতে বাঁশতলা পর্যন্ত ১০ কিঃ মিঃ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ ও শত শত যানবাহন চলাচল করে। অথচ দীর্ঘ এক যুগ ধরে রাস্তার বেহাল দশা পড়ে থাকলেও দেখার কেউ নেই।
উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেন সাতনদীকে বলেন জুন মাসের পরে ৫ কোটি টাকা করে ভাগ করে কাজ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বাকি উপজেলার অন্যান্য রাস্তা গুলো জুনের পরে বরাদ্দ চেয়ে সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে। উপজেলার ঠেকরা গোবিন্দপুর সড়কের পাশে ইট ভাটার মাটি পরিবহনের জন্য কালিগঞ্জ হতে কুশুলিয়া কৃষ্ণগর সড়কটির বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে। জানা যায়, ইট ভাটার মালিক ভাটার জন্য ট্রাক, ট্রলি, ডাম্বার দিয়ে বাইরে থেকে মাটি আনছেন। ট্রাক থেকে মাটি পড়ে স্তুপ হয়ে যাচ্ছে। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে রাস্তা দিয়ে যে কোন যানবাহন গুলো নানা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ প্রতিকার চেয়ে তারা অনেক বার উপজেলা প্রশাসন সহ বিভিন্ন দপ্তরে ধর্না দিয়েছেন কিন্তু ভাটা মালিকদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। যে কারণে এ বছর বর্ষার শুরুর পর রাস্তার অবস্থা আরও বেহাল হয়ে পড়েছে। যে রাস্তায় যেতে ৩০ মিনিট সময় লাগার কথা সেখানে লাগছে ১ থেকে দেড় ঘন্টা। বৃষ্টির পানি জমে খানা খন্দে ডোবায় পরিনত হয়েছে। মালবাহী গুলো ভাঙ্গা রাস্তার কারণে উল্ট্রে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এলাকার এবং উপজেলার জনপ্রতিনিধিরা ভোটের আগে ভোট পাওয়ার আশায় উন্নয়নের নানান প্রতিশ্রুতি দিলেও ভোটের পর তার আশ্বাস শুধু প্রতিশ্রুতি থেকে যায়।
উপজেলার উন্নয়নে টি,আর, কাবিখা সহ বিভিন্ন উন্নয়ন মুখী কর্মকান্ড শুরু কাগজে কলমে কিন্তু বাস্তবে প্রকল্পে মিল খুজে পাওয়া খুবই কঠিন। অনেক প্রকল্পে কাগজ কলমে প্রকল্প পাওয়া গেলেও বাস্তবে অনেক প্রকল্প খুজে পাওয়া যায় না। কালিগঞ্জ উপজেলার ভঙ্গুর বেহাল দশার রাস্তার হাত থেকে কবে রেহাই পাবে সেই প্রত্যাশায় তাকিয়ে আছে উপজেলাবাসী।