
খুলনা প্রতিনিধি: লকডাউন; এরপরও খুলনায় প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। খুলনায় করোনাভাইরাসের উপসর্গ জ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্ট নিয়ে একদিনেই ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত সময়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা সাসপেক্টেড আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
করোনা ওয়ার্ডেও ফোকাল পারসন ডা. মো. মিজানুর রহমান জানান, একদিনে খুলনায় সর্বোচ্চ করোনা উপসর্গ নিযয়ে ছয়জন মারা যান, এদের মধ্যে রয়েছে খালিশপুরের জরিনা বেগম (৬০), রুফসার মো. আলী(৬০), যশোর অভয়নগরের রুমা বেগম (৩৫), নড়াইল কালিয়ার কার্তিক (৪০), খুলনা সদরের জামশেদ আলম (৬০) এবং সোনাডাঙ্গার নাসিম আহমেদ (৬০)। এ নিয়ে খুলনায় মোট ৫৫ জন রোগী করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেন।
খুমেকের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ জানান, খুলনায়, প্রতিদিনই করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বাড়ছে মৃত্যুসংখ্যা। এখনই আমরা সচেতন না হলে আরো ভয়াবহ রূপ নেবে।
ডা. মো. মিজানুর বলেন, তারা করোনা আক্রান্ত ছিলেন কি-না তা জানার জন্য তাদের নমুনা পরীক্ষা করা হবে। ইতোমধ্যে তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ বলেন, খুলনায় বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করছে। এখন সংক্রমণ রোধে কঠোর লকডাউন ছাড়া আর কোনো বিকল্প পথ নেই। খুলনাকে করোনার ছোবল থেকে বাঁচাতে ২১ দিনের কঠোর লকডাউন করার জন্য করোনা প্রতিরোধ কমিটির কাছে সুপারিশ করা হবে। কঠোরভাবে লকডাউন না করা হলে প্রতিদিনই করোনা শনাক্তের রেকর্ড হবে। এ নিয়ে করোনার উপসর্গ নিয়ে খুলনায় ৫২ জনের মৃত্যু হলো।