
জি,এম আমিনুর রহমান: শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ীর খোলপেটুয়া নদীর বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত রাস্তার উপর বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে পথচারীদের চলাচলে স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছেন ইউপি চেয়ারম্যান এসএম আব্দুর রউফ।
ঘূর্ণিঝড় আম্পানে খোলপেটুয়া নদীর কাশিমাড়ীর ঝাপালী অংশের পাউবোর বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে কাশিমাড়ীসহ পার্শ্ববর্তী কালিগঞ্জের কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের অনেক গ্রাম, খাল বিল, পথঘাট, ঘরবাড়ি ও মৎস্য ঘের প্লাবিত হয়। প্রতিদিন জোয়ারের পানিতে নতুন নতুন এলাকা টুইটম্বুর অবস্থা বিরাজ করছে। শ্যামনগর-ঝাপালী সড়কের (মেইন রোড) একাধিক স্থান পানিতে তলিয়ে যায়। মেইন রাস্তার উপর দিয়েও পানি জোয়ার-ভাটা প্রবাহিত হচ্ছে। এতে পিচের রাস্তার ছাল ছামড়া উঠে গিয়ে বড় বড় খানা খন্দের সৃষ্টি হওয়াসহ চরম ভোগান্তিতে পড়ে পথচারীরা। এমতাবস্থায় বিরাজমান থাকায় পথচারীদের চলাচল অসম্ভব ও কষ্টকর হয়ে পড়ে। মানুষের দুর্দশা লাঘবে কাশিমাড়ী-ঝাপালী সড়কের ঝাপালী নামক স্থানে সাকো তৈরি করে পথচারীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এনেছেন ইউপি চেয়ারম্যান এসএম আব্দুর রউফ।
তিনি জানান, কাশিমাড়ীর ভাঙন অংশ দিয়ে গোটা এলাকায় লবন পানি প্রবেশ করেছে। স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে এলাকাবাসীদের সাথে নিয়ে দীর্ঘ ১কিলোমিটার রিং বাধ দিতে সক্ষম হলেও নদীর অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে কয়েক দফায় কাজ করেও শেষ পর্যন্ত সব শ্রম ব্যর্থ হয়। তাই ব্যস্ততম এই সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত কারী পথচারীদের কষ্ট কিছুটা লাঘবের জন্য নিজের উদ্যোগে শেষপর্যন্ত বাঁশ ও গাছ দিয়ে এই সাঁকো নির্মাণ করেছি। ফলে মানুষ এখন সহজে সড়কের উপরের পানি পার হয়ে যাতয়াত করতে পারছে।