
নিজস্ব প্রতিবেদক: কথিত বাল্যবিবাহের খবর অনলাইনে প্রকাশ করে একটি মহল চাঁদাবাজিতে মেতে উঠেছে। ঘটনাটি সদর উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামে।
ছয়ঘরিয়া গ্রামের রবিউল ইসলামের পুত্র মাযহারুলের কণ্যার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। উভয়েই প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে দু’পরিবারের মাঝে একটি সামাজিক বৈঠক হয়। ছেলের বাবা রবিউল ইসলাম জানান, ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় বিয়ের বয়স হলে তাদের বিবাহ দেয়া হবে। এদিকে বিষয়টি নিয়ে একটি অনলাইনে বাল্যবিবাহ মর্মে প্রচার করা হয়। পরে এ্যাডভোকেট শাহনাজ পারভীন মিলির প্রতিনিধি পরিচয়ে মোস্তাফিজুর নামের এক ব্যক্তি মাযহারুলের বাড়ি যায়। সে বলে তোমরা মেয়ে বিয়ে দিয়েছো। সঙ্গে ছিল ময়না মেম্বর। ময়না মেম্বর মাযহারুলের কাছ থেকে এক হাজার টাকা নেয় মোস্তাফিজুরের নাম করে। মেম্বর রবিউলকে বলে মোস্তাফিজকে তেল খরচ দাও। পরে চার’শ টাকা দিলে মোস্তাফিজুর বলে দু’হাজার টাকা দেন। পরে চার’শ টাকা নিয়ে মোস্তাফিজুর ফিরে আসে।
এদিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ৩০ মে মাযহারুলের বাড়িতে গিয়ে তার অঙ্গিকার নামা নিয়ে এসেছে। প্রাপ্ত বয়স্ক না বলে তারা মেয়ে বিয়ে দিবে না।