আলহুসাইন অমি:
খোকা বাহিনী থেকে রেরিয়ে আসার জের ধরে সিদ্দিকের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও মারপিটের ঘটনা ঘটিয়েছে খোকা বাহিনী। এ ঘটনার জের ধরে খোকা গ্রুপের দুজনকে মারধর করেছে সিদ্দিকের লোকজন। ঘটনাটি আশাশুনি উপজেলার আশাশুনি গ্রামে গতকাল ২৬ মে তে ঘটেছে। এ ঘটনায় আসামীদের পক্ষে তদবীরের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্পাদকের বিরুদ্ধে। পুলিশ খোকার বাড়ি থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করলেও তা পরিত্যাক্ত দেখাতে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, আশাশুনি উপজেলা সৈনিকলীগের নেতা সন্ত্রাসী আবুল কাশেম খোকা বাহিনী থেকে সিদ্দীক সম্প্রতি বেরিয়ে আসে। ২৬ মে সিদ্দিকের বাড়িতে একটি শালিসী বৈঠক বসে। এ সময় খোকা ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য রুহুল আমিন, মফেজ, শিমুল গংরা সিদ্দিকের বাড়িতে হামলা করে ভাঙচুর ও মারপিট করে। এ ঘটনায় আশাশুনি সদরের মৃত ঈদু গাজীর ছেলে নিরীহ ভ্যানচালক বিল্লাল নামের একজন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এছাড়া হামলার ঘটনায় সিদ্দীক তার বউ এবং মেয়েও মারপিটের শিকার হয়েছে। এ ঘটনার জের ধরে সিদ্দিকের লোকজন আশাশুনি বাজারে খোকা বাহিনীর দুজনকে পেয়ে মারপিট করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ হামলাকারীদের পক্ষ নিয়ে সিদ্দিককে আটক করে থানায় নিয়ে মারপিট করেছে। পাশাপাশি খোকার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র শস্ত্র উদ্ধার করেছে। তবে শাসক দলের এক শীর্ষ নেতা অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনাটি ভিন্ন খাতে নিতে তদ্বির করছেন বলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সাতনদীকে জানিয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম রেজা মিলন জানিয়েছেন খোকার বাড়ি থেকে অস্ত্র শস্ত্র উদ্ধারের কথা তিনি আশাশুনি থানার ওসির নিকট থেকে জেনেছেন। অপরদিকে ওসি অস্ত্র উদ্ধারের কথা অস্বীকার করেছেন। আওয়ামীলীগ নেতা এ্যাড. শহিদুল ইসলাম পিন্টু বলেছেন শাসক দলের শীর্ষ এক নেতা সন্ত্রাসীদের পক্ষ নিয়ে অস্ত্র শস্ত্র উদ্ধার পরিত্যাক্ত দেখানোর জন্য পুলিশের ওপর চাপ প্রয়োগ করছেন।