
মো: রাকিব, চট্টগ্রাম:
আগামীকাল সোমবার সারা বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে মুসলমানদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর। কিন্তু এবারের ঈদ বরাবরের থেকে ব্যতিক্রম। এবারের ঈদে বেড়ানো যাবে না চট্টগ্রামের কোন বিনোদন কেন্দ্রে । সংবাদটি শুনতে দু:খজনক হলেও আসলে প্রয়োজন রয়েছে।
প্রতিটি মানুষ সুখ-দু:খ ভাগাভাগি করে চলেন এবং চলতে বাধ্য হয়। দু:খের পাশাপাশি আনন্দ উপভোগ করতে সবাই চায়। কিন্তু আমাদের জন্য এই আনন্দ অন্ধকারে পরিণত হবে যদি করোনা ভাইরাস নামীয় মরণব্যাধী কাউকে নাগালে পায়। দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে দর্শনার্থী শূন্য থাকা নগরীর পতেঙ্গা সৈকত, পারকি চর, ফয়েস লেকসহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে আসন্ন ঈদ ছুটিতেও দর্শনার্থীদের জন্য ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকছে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের জনসংযোগ বিভাগ থেকে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনো ভাইরাসের সংক্রমণ ও বিস্তার রোধের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম মহানগর এলাকার পতেঙ্গা সী-বিচ, পারকি বিচ, ফয়েস লেকসহ বিভিন্ন পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্রে দর্শনাথীদের সমাগম নিষিদ্ধকরণ সংক্রান্ত গত ১৮ মার্চ সিএমপি জারিকৃত নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
এ সময় দর্শনার্থীদের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে সমাগম না করার জন্য নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়। জানা গেছে, শুরুতে নগর পুলিশের এমন নির্দেশনা জারির পরপরই ওইদিনেই পতেঙ্গা সৈকতসহ বিভিন্ন সমুদ্র সৈকতের পারগুলোতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে দর্শনার্থীমুক্ত করা হয়। এ সময় বিচের ধারে কাউকে আসতে না দেওয়ার ওপর কড়াকড়ি নজরদারি রাখা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে।
গেলো সপ্তাহে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের উপস্থিতির একই বিষয় নিয়ে পূর্ববর্তী নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার কথা জানান চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। এ সময় নির্দেশনা না মেনে ঘরের বাইরে এসে ঈদে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ভিড় করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে জেল-জরিমানাসহ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানানো হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
এর আগে গত ১৯ মার্চ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয় জেলা প্রশাসন। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও সিএমপির পৃথক নির্দেশনা জারির পর গতকাল পর্যন্ত ৬৫ দিন ধরে চট্টগ্রামে সমুদ্র সৈকত পারসহ ফয়েস লেক, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানাসহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রগুলো দর্শনার্থীশূন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে।