
সচ্চিদানন্দদেসদয়: করোনা ভাইরাসের কারনে আশাশুনিতে চলছে অঘোষিত লকডাউন।আর অঘোষিত লক ডাউন দীর্ঘ হওয়ায় আশাশুনির কাপড় ও গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা প্রচুর ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন। মূলত ঈদ,বিয়ে,বৈশাখী অনষ্ঠান কেন্দ্রিক এই ব্যবসায়ীদের একদিকে ব্যাংকের সুদ উঠছে, অপরদিকে কর্মচারিদের বেতন এবং দোকানভাড়া পরিশোধ করতে হচ্ছে।
তাছাড়া আগে থেকে সংগ্রহ করা কাপড় দীর্ঘ দিন বদ্ধ অবস্থায় থাকার কারণে গরমে নষ্ট হওয়ার আশাঙ্কা করা হচ্ছে। সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা বাজার কাপড় ও গামেৃন্টস ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। তাই তারা চান সরকার যেসব ঋণ প্রণোদনা দিচ্ছে তাদেরকেও যেন এর আওতায় আনা হয়। এছাড়া কাঁচাবাজারের ন্যায় সীমিত সময়ের জন্য সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দোকান খোলার সুযোগ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
ব্যবসায়ীরা জানান, বুধহাটা আশাশুনির একটি প্রসিদ্ধ বাজার। এই বাজারে কাপড় ও গার্মেন্টস সমগ্রী সহ কয়েক কোটি কোটি টাকার ব্যবসা হয়। যার উপর সরাসারি নির্ভরশীল কয়েকশ’ পরিবার। পরোক্ষভাবে দুই থেকে তিনশ’ পরিবার এই বাজারের উপর নির্ভরশীল। ঈদ কেন্দ্রিক কাপড় ব্যবসায়ীদের ধারণা ছিল রমজান শুরু হতে হতে মহামারী করোনার প্রভাব কেটে যাবে। সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে। বাস্তব অবস্থা ভিন্ন। দিন যতো গড়াচ্ছে আক্রান্তের সংখ্যা ততোই বাড়ছে। তাই ঈদের আগে আর ব্যবসা চালু হওয়ার আশা দেখছেন না তারা। এভাবে চলতে থাকলে তাদের দোকান এবং গোডাউনের সব মালামাল নষ্ট হয়ে যাবে।
অপরদিকে কাপড় ও অন্যান্য সামগ্রীর বিপরীতে ব্যাংক, এজিওর সুদ উঠছে। তাছাড়া কেউ কেউ ব্যাংক থেকে সিসিসহ নানা খাত দেখিয়ে ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করেছেন। যার বিপরীতে সুদ উঠছে। অনেকেই আত্মী-য়স্বজন বন্ধু-বন্ধব এর কাছ থেকেও ব্যক্তিগতভাবে ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করেছেন। সেসব ঋণের সুদের হার বেশি। এসব কারণে অনেক ব্যবসায়ী চোখে অন্ধকার দেখছেন।
একাধিক ব্যবসায়ী এ প্রতিবেদককে জানান, সার্বিক দিক বিবেচনা করে প্রশাসন যদি সীমিত সময়ের জন্য দোকানে বেঁচাকেনা করার অনুমতি দিতেন তাহলে তারা কিছুটা হলেও রক্ষা পাবেন। কোন দোকান থেকে যদি দিনে একটি কাপড়ও বিক্রি হয় তাহলে তাতেও কিছুটা তারা উপকৃত হবেন।