
নিজস্ব প্রতিবেদক: শ্যামনগর উপজেলার ৫নং কৈখালী ইউনিয়নে গত দুই দিনে ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার ও শনিবার এই দুই দিনে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। মৃত ব্যক্তিরা হলো ৯নং ওয়ার্ডের জরিনা (৭০), ৪নং ওয়ার্ডের খয়রাত গাজী (৭৫), আব্দুল গাজী (৭০), ৩নং ওয়ার্ডের লুৎফার গাজী (৭০), ২নং ওয়ার্ডের রউফ গাজী (৯০), হামিদ গাজী (৭৬), ৬নং ওয়ার্ডের ভাদ্র বালা মন্ডল (৪৫)।
তবে মৃত ব্যক্তিদের অধিকাংশই বয়স বেশি হওয়ায় এসব স্বাভাবিক মৃত্যু বলে জানা গেছে। আবার কেউ কেউ শৈত্য প্রবাহ ও শীতের প্রকোপ বেশি হওয়ার কারনে এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে দাবী করেন।
কৈখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম জানান, আমার ইউনিয়নের এক পাশে ভারত নদী সিমান্ত রয়েছে। যার নাম কালুন্দী নদী। এই নদীর ওয়াপদার বেঁড়ীবাঁধ দিয়ে বসবাস করছে প্রায় ২ হাজার পরিবার। এই পরিবারগুলো অত্যন্ত ঝুকিপূর্ন অবস্থায় বসবাস করছে। আমার ইউনিয়নে ইতিমধ্যে নিজস্ব অর্থায়নে ২শ কম্বল ও সরকারী ভাবে বরাদ্দ পাওয়া ৪শ ৬০ টি কম্বল বিতরণ করেছি।তবে চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত না হওয়ায় সকলকে দেওয়া সম্ভব হয়নি।
শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলন জানান, মানুষ আসলে গুজবে অভ্যস্ত। সকল মৃত্যুই স্বাভাবিক। কথার মাঝে তিনি যোগ করেন, আসুন সবাই মিলে মৃত ব্যক্তিদের কবর জিয়ারত করে আসি।
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান জানান, আমার কাছে এ ধরনের কোন খবর নেই। শীতে অসহায়, দুঃস্থ ও গরীব মানুষের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ পেয়েছি। শৈত্য প্রবাহ ও শীতে কোন অসহায় মানুষই যেন কষ্ট ভোগ না করে সেদিকে সর্বদা খেয়াল রয়েছে।