নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা-শ্যামনগর আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্তকরণের লক্ষ্যে কালিগঞ্জ উপজেলার নলতায় সড়কের ওপর ওঠানো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অবৈধ স্থাপনা ভেঙে ফেলেছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ)। বুধবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত নলতার ঘোড়াপোতা নামক স্থান থেকে চৌমুহনী পর্যন্ত প্রায় ৫০টিরও বেশি অবৈধ স্থাপনা ভেঙে ফেলা হয়। যার মধ্যে নলতা হাসপাতালে একটি অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে।
জরিপের মাধ্যমে এসব অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করে সওজ। এরপর গত ১৮ নভেম্বর সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর স্বাক্ষরিত একটি গণ বিজ্ঞপ্তিতে ৩ ডিসেম্বরের ভিতরে দেবহাটার গাজীরহাট বাজার হতে ৩০ কিলোমিটার এ অবস্থিত কালীগঞ্জ বাস টার্মিনাল ও কাকশীয়ালী ব্রীজ এর উভয় পার্শ্বে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ভূমিতে অবস্থিত সকল অবৈধ স্থাপনা দখলদারদের নিজ খরচে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা দেয় সওজ। তারই ধারাবাহিকতায় ৩ ডিসেম্বর (বুধবার) নলতায় সেনাবাহিনী, পুলিশ ও সওজের যৌথ নেতৃত্বে শুরু হওয়া এ অভিযানে মহাসড়কের দুই পাশে বহু বছর ধরে দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ দোকান, টিনশেড ও বিভিন্ন স্থাপনা ভেঙে ফেলা হয়।
অন্যদিকে, স্থানীয় সচেতন মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে নলতায় কোনো এক অজানা শক্তির কারণে সওজ কর্তৃক পূর্বে চিহ্নিত কিছু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান থেকে অবমুক্তির অভিযোগ তুলেছে। তবে এ ব্যাপারে স্থানীয় যুবক আবুল কালাম তার নিজস্ব ফেসবুক পেইজে উচ্ছেদ অভিযানের লাইভ দেয়ার সময় উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্বে দেয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট জানতে চাইলে তিনি এর কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
এই উচ্ছেদ অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে যাত্রীরা ও স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, অবৈধ স্থাপনার কারণে সড়ক সরু হয়ে গিয়েছিল এবং যানবাহন চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছিল। এই উচ্ছেদের ফলে যানজট কমে আসবে এবং জনসাধারণের চলাচল সহজ হবে।
তবে এই পদক্ষেপে একদিকে সাধারণ মানুষ স্বাগত জানালেও, অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন। কিছু ক্ষেত্রে উচ্ছেদ অভিযান চলাকালীন অবৈধ স্থাপনার দখলদারীদের বাঁধার মুখে পড়তে হয় বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য, উচ্ছেদ অভিযানের আগে দখলদারদের সরকারি জায়গা ছেড়ে দেওয়ার জন্য নোটিশ ও মাইকিং করে জানানো হয়েছিল। অনেকে স্বেচ্ছায় স্থাপনা সরিয়ে নিলেও, যারা নির্দেশ উপেক্ষা করেছেন, তাদের স্থাপনা ভেঙে ফেলা হয়েছে।