
আহাদুর রহমান জনি: গতকাল শনিবার ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের পূর্ব নির্ধারিত ‘বিশেষ নির্বাচনী সাধারণ সভা’ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। ফলে নেতৃস্থানীয় ব্যবাসায়ীরা ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের আহবায়ক কমিটির সাথে একটি মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। নির্বাচন চেয়ে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ এসময় ৬০ দিনের মধ্যেই নির্বাচন সম্পন্ন করার কথা বলেন।
মতবিনিময় সভার শুরুতে ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের আহবায়ক মিজানুর উস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভার শুরু করেন। এসময় তিনি আগামী ২৫ এপ্রিল নির্বাচনী সভার কথা ঘোষণা করলে প্রতিবাদ জানান ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন আপনি নতুন আহবায়ক এটা নিয়ে আমাদের কোন মাথা ব্যথা নেই কিন্তু নির্বাচনী সাধারণ সভা আপনি বাতিল করেছেন কেন? উত্তরে আহবায়ক মিজানুর রহমান বলেন, পূর্ববর্তী আহবায়ক থাকা কালীন বিগত তিন মাসের একটি অডিট শেষ করতে কিছুটা সময় ব্যয় হবে। তাই নির্বাচনী সভা পেছানো হয়েছে।
সিএন্ডএফ এজেন্ট্স এসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ফরহাদ ইন্টারন্যাশনালের স্বত্ত¡াধীকারী অহিদুল ইসলাম এসময় আহবায়ক মিজানুর রহমানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, অডিট এর সাথে নির্বাচনী সভার কোন সম্পর্ক নেই। আর পূর্বের আহবায়ক তহবিল তছরুপ করে থাকলে তার দায় আপনাদের ওপর বর্তাবে। কারণ আপনাদের বাইরে তার একার পক্ষে তহবিল তছরুপ করা সম্ভব নয়, যদি তহবিল তছরুপ হয়ে থাকে তাতে আপনারও সামিল আছেন।
মি. অহিদুল ইসলাম আরও বলেন, আদালতের নির্দেশনায় আজ ১৬ এপ্রিল সাধারণ সভা আহবান করা হয়েছিলো। সেটি আপনি বাতিল করেছেন কার স্বার্থে। যে কোন মূল্যে ভোমরা সিএন্ডএফ এজন্টস্ এসোসিয়েশনের নির্বাচন হতে দিতেই হবে।
এসময় ব্যবসায়ীরা আহবায়ককে এপ্রিলের ১৮ তারিখে নির্বাচনী সভা আহবানের অনুরোধ করেন। কিন্ত অডিট রিপোর্ট হাতে না পেয়ে সভা করতে রাজি হননি আহবায়ক। তবে সর্বশেষ তিনি ২৫ এপ্রিল নির্বাচনী সাধারণ সভা আহবান করেন।
একের পর এক ভাঙ্গা গড়ার খেলায় ভোমরা স্থল বন্দরটি অস্থিতিশীল হয়ে পড়ছে। এদিকে নির্বাচিত কমিটি ভোমরা সিএন্ডএফ এর দায়িত্বভার না নেয়ায় নিজেদের দাবিদাওয়া আদায়য়ে পিছিয়ে পড়ছেন বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীরা। মতবিনিময় সভায় নির্বচনের মুখে আহবায়ক কমিটির ভাঙ্গা-গড়া নিয়ে হুশিয়ারি উচ্চারন করে শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ বলেন, নির্বাচনের বিকল্প নেই। তারা আরও বলেন, মহামান্য হাইকোর্ট মিজানুর রহমানকে দায়িত্ব দিয়েছে। আবার কোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের দায়িত্বও তার উপর। আমরা বন্দরের ব্যবসায়ীরা সাধারণ সভা চাই। একের পর এক আহবায়ক কমিটি আসবে আর আমাদের এসোসিয়েশনের তহবিল তছরুপ করবে আমরা তা হতে দিবনা। কোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচিত কমিটি না আসলে আমরা সিএন্ডএফ এজেন্টস্ এসোসিয়েশনে টাক দেয়া বন্ধ করে দিবো।
ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের আহবায়ক কমিটির মতবিনিময় সভায় মতবিনিময়ে অংশ নেন আহবায়ক মিজানুর রহমান ও সদস্য রাম কৃষ্ণ চক্রবর্তী। ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের মধ্যে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, অহিদুল ইসলাম, আবু মুসা, মোঃ রবিউল ইসলাম, মুন্সি রইছুল হক টুকু, আব্দুল মোমেন খান চৌধুরী, শাহানূর ইসলাম শাহিন, গোলাম ফারুক (বাবু), অলিউল্লাহ, রুহান, রোখছানা পারভীন, আক্তার মোমেন (পানি ডাক্তার), হাজী আলতাফ হোসেন, আব্দুস সালাম, জালাল উদ্দীন গাজী, আশরাফুল ইসলাম (খোকন), আমির হামজা, দিপংকর ঘোষ প্রমুখ।