
স্পোর্টস ডেস্ক: জাতীয় আসরেই চ্যাম্পিয়ন হয় হায়দরাবাদ ডেকান চার্জার্স। কিন্তু তিন বছর পরই বিশ্বের সবচেয়ে জমজমাট টি–টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়তে হয় তাদের। অন্যায়ভাবে বাদ দেওয়ার অভিযোগ এনে সাবেক ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক প্রতিষ্ঠান ডেকান ক্রনিক্যাল হোল্ডিংস লিমিটেড (ডিসিএইচএল) মামলা করে আদালতে। দীর্ঘ আট বছর পর রায় ডেকানের পক্ষে এসেছে। এজন্য প্রতিষ্ঠানটিকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৪৮০০ কোটি রুপি দিতে হবে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই)।
২০১২ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ডেকান চার্জার্সকে আইপিএল থেকে ছেঁটে ফেলে আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। টুর্নামেন্ট কমিটির চাওয়া ১০০ কোটি রুপির ব্যাংক গ্যারান্টি দিতে না পারায় বাদ দেওয়া হয় তাদের। তবে থেমে যায়নি ডেকান। আইপিএল থেকে অন্যায়ভাবে বাদ দেওয়ার অভিযোগ এনে ওই বছরই মুম্বাই হাইকোর্টে মামলা করে হায়দরাবাদভিত্তিক মিডিয়া প্রতিষ্ঠানটি।
মামলা নিষ্পত্তিতে মুম্বাই হাইকোর্ট সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সিকে ঠাক্কারকে নিয়োগ দেন। এরপর কেটে গেছে আট বছর। তবে মামলা থেকে পিছু হটেনি ডিসিএইচএল। অবশেষে তারা পেয়েছে সুখবর, আর বিসিসিআই বড় অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির মুখে। ডেকানের মালিক প্রতিষ্ঠান মামলা জিতে যাওয়ায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের দিতে হবে ৪৮০০ কোটি রুপি ক্ষতিপূরণ।
বিসিসিআই এখনও রায়ের কপি হাতে পায়নি। তাই পরবর্তী পদক্ষেপ কী নেওয়া হবে, সেটা জানাতে পারেননি বোর্ডের অন্তবর্তীকালীন প্রধান নির্বাহী হেমাঙ্গ আমিন, ‘আমরা এখনও রায়ের কপি পাইনি। হাতে পাওয়ার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
ডেকানকে বাদ দেওয়ার পর ২০১২ সালে হায়দরাবাদ থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজির দরপত্র আহ্বান করে বিসিসিআই। নিলামের মাধ্যমে ৪২৫ কোটি রুপিতে হায়দরাবাদের ফ্রাঞ্চাইজির স্বত্ব পায় সান টিভি নেটওয়ার্ক। আইপিএলে যারা দল পরিচালিত করছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ নামে।
এর আগে ২০০৮ সালে ১০৭ মিলিয়ন ডলারে ১০ বছরের জন্য স্বত্ব কিনে নিয়েছিল ডেকান। কিন্তু তিন বছরের মাথায় তারা বাদ পড়ে। অ্যাডাম গিলক্রিস্টের নেতৃত্বে প্রতিযোগিতাটির দ্বিতীয় আসর ২০০৯ সালে শিরোপা উদযাপন করেছিল ডেকান।