
নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনা কালে লকডাউনের মধ্যে তিন মাস হল কোনো বেতন-বোনাস পান না সাতক্ষীরা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ অফিসের সকল স্বাস্থ্য পরিদর্শকগণ, সেনেটারী ইন্সপেক্টরগণ ও সকল স্বাস্থ্য সহকারী বৃন্দ। সম্প্রতি বাংলা নববর্ষের বোনাস ভাতাও পাননি স্বাস্থ্য অফিসের কোন স্টাফ।
এদিকে পরপর তিন মাস কোন বেতন বোনাস না পেয়ে মধ্যবিত্ত পরিবারের স্বাস্থ্য সহকারীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তাছাড়া সদর উপজেলার সিএইচসিপি গণ ও কোন বেতন পাচ্ছেন না। ফলে তারা সমিতির কিস্তির টাকা, ব্যাংক লোনের কিস্তির টাকাও সময় মত পরিশোধ করতে পারছেন না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক স্বাস্থ্য সহকারী জানান, মানুষের কাছ থেকে আর কত দিন ধার নিয়ে চলতে হবে তা আল্লাহই জানেন। পাওনা দার কে বলি সামনের মাসে ধারের টাকা দিবো। কিন্তু বেতন না দেওয়ায় পরপর তিন মাস পাওনাদারদের কোন টাকা পরিশোধ করতে পারছিনা। ঐ স্বাস্থ্যকর্মী আরো জানান, যেসব মুদি দোকানে বাকী চাল-ডাল কিনি তারাও আর বাকি দিতে চাচ্ছেনা।
এবিষয়ে জানতে চাইলে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ অফিসের স্বাস্থ্য সহকারী মেহেদী হাসান জানান, সারা বাংলাদেশেই এই অবস্থা। বরাদ্দ নেই। কবে বরাদ্দ আসবে অধিদপ্তর থেকে তা ও জানিনা। তিনি আরো জানান,আমি সহ প্রায় সকল স্টাফরা একটা সমস্যার মধ্য দিয়ে জীবন যাপন করছি। তিনি আরো বলেন, আমরা কেউ এখনো নববর্ষের ভাতা পাইনি। সামনে ঈদ বোনাস, সেটাও যদি না পাই তাহলে ঈদ করবো কিভাবে?
এবিষয়ে মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য সচিব ও স্বাস্থের ডিজি’র হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সাতক্ষীরা জেলার সকল স্বাস্থ্যকর্মীগণ।