
জাতীয় ডেস্ক:
দীর্ঘদিনের অভিযোগ আর ভোগান্তির অবসান ঘটতে যাচ্ছে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রত্যাশীদের। ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে জেলা পর্যায়ে মাত্র ১৫ দিনেই ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানের নতুন কার্যক্রম শুরু করেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) টাঙ্গাইল বিআরটিএ সহকারী পরিচালক মো. আলতাব হোসেন সময় সংবাদকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এখন থেকে আবেদনকারীর বাড়িতেও লাইসেন্স পৌঁছে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এতে করে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রত্যাশীদের আর কোন প্রকার ভোগান্তি হবে না।
লাইসেন্স প্রত্যাশীরা জানান, বছরের পর বছর ঘুরেও মিলছেনা ড্রাইভিং লাইসেন্স। তবুও প্রতিদিন বিএরটিএ অফিসে লাইসেন্স প্রত্যাশী শত শত মানুষ ভিড় করেন।
তারা জানান, দুর্ভোগ আর ভোগান্তির অপর নাম বিআরটিএ অফিস। টাকা বা দালাল ছাড়া মিলে না ড্রাইভিং লাইসেন্স।
পূর্বে পেশাদার লাইসেন্স পেতে পরীক্ষা নেয়ার ১৫ দিন পর দেয়া হতো পরীক্ষার ফলাফল। এরপর সাত থেকে দশদিন পর পুলিশ ভেরিফিকেশন হাতে পাবার সপ্তাহখানেক পর নেয়া হতো আঙুলের ছাপ। এরপর বছরের পর বছর ঘুরেও মিলতো না ড্রাইভিং লাইসেন্স।
লাইসেন্স প্রত্যাশীদের এ ভোগান্তির কথা মাথায় রেখে স্মার্ট বাংলাদেশের বাস্তবায়ন করতে চলেছে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ। একদিনে আঙুলের ছাপ ও পরীক্ষা নেয়াসহ সকল কার্যক্রম শেষ করে ১৫দিনের মধ্যে ড্রাইভিং লাইসেন্স হয়ে যাবে। এই লাইসেন্স আবেদনকারীর বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হবে। আজ থেকে জেলা পর্যায়ে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ এ কার্যক্রম শুরু করেছে।
এই সুযোগ গ্রহন করতে সকাল থেকেই আবেদনকারীরা বিআরটিএ অফিসে ভিড় জমিয়েছেন। একদিনে আঙুলের ছাপ ও পরীক্ষা দিতে পেরে খুশি ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রত্যাশীরা।
তারা জানান, আগে অনেক ভোগান্তি হতো। আজকে একই দিনে আঙুলের ছাপ ও পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। আশা করি সময় মতোই ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করা হবে।
সহকারী পরিচালক মো. আলতাব হোসেন ভোগান্তির কথা স্বীকার করে জানান, এখন থেকে আর কোনো ভোগান্তি হবে না। এখন আবেদনকারীর বাড়িতেও লাইসেন্স পৌঁছে দেয়া কথা জানিয়েছেন তিনি।
বর্তমানে টাঙ্গাইল জেলায় দুই হাজার ৩৪টি ড্রাইভিং লাইসেন্স (স্মার্ট কার্ড) আবেদনকারীদের হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। আজ একদিনে ১২০জন আবেদনকারীর আঙুলের ছাপসহ অন্যান্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পেরেছে কর্তৃপক্ষ।