নড়াইল সংবাদদাতা:
হাইকোর্টের আাদেশ থাকা সত্তেও নড়াইল সদরের আউড়িয়া গ্রামে মের্সাস রুপা ব্রিকস ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধের কোন উদ্যোগ গ্রহন না করায় সংবাদ সম্মেলন । ২৪ মার্চ শুক্রবার সকালে আউড়িয়া এ পি বি এস এল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি ও আউড়িয়া বাজার বনিক সমিতির সভাপতি এই সংবাদ সম্বেমলন করে। আউড়িয়া এ পি বি এস এল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি ও আউড়িয়া বাজার বনিক সমিতির সভাপতি মোঃ মাসুদ সিকাদর।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন যুব লীগ নেতা কামরুল হাসান, আউড়িয়া ইউনিয়নের ১নং ওর্য়াডের কাউন্সিলার মোঃ ওসমান গনি, আতিকুর রহমান প্রিন্স প্রমুখ। অপর দিকে মের্সাস রুপা ব্রিকসের মালিক মোঃ মুক্ত শেখ দাবী করে বলেন, হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্দে তারা আপিল করেছেন, মহামান্য আদালত আপিল শুনানী না হওয়া পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে বলেছেন।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি ও আউড়িয়া বাজার বনিক সমিতির সভাপতি মোঃ মাসুদ সিকাদার তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, মের্সাস রুপা ব্রিকস ইটভাটাটি আউড়িয়া গ্রামের ঘন বসতি এলাকায় অবস্থিত। ইটভাটার ২৫০ মিটারের মধ্যে একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৫০০ মিটারের মধ্যে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৫০ মিটারের মধ্যে ঈদগাহ, কবরস্থান, মাদ্রাসা ও মসজিদ অবস্থিত।
মের্সাস রুপা ব্রিকসের অবৈধ নছিমন ট্রাক্ট্রর কোন আইনের টোয়াক্কা না করে চলাচল করছে। বছর দুই আগে আউড়িয়া গ্রামের গফফার মোল্যার ছেলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র রানা মোল্যা এ অবৈধ গাড়ীর চাপায় পড়ে নিহত হয়েছে। শুকনো মৌসুমী ইটভাটার কারনে ধূলাবালি ও বর্ষার সময় কাদা সৃষ্টি হয়। এ সব কারনে জেলা প্রশাসক, জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর বরাবর আবেদন করে কোন প্রতিকার না পাওয়ায় হাইকোর্টে ১১৮১/২০২৩ নং রীট পিটিশন দাখিল করেন। উভয় পক্ষে শুনানী শেষে ফের্রুয়ারী মাসের ১৬ তারিখে উক্ত ইটভাটা বন্ধের জন্য জেলা প্রশাসক নড়াইল, জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর নড়াইল ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে আদেশ প্রদান করেন। উক্ত আদেশের কপি অনুষ্ঠানিক ভাবে উক্ত কর্মকর্তাগন পেলেও আজও পর্যন্ত উক্ত ইটভাটা বন্ধের জন্য কোন কার্যক্রম করেন নাই বলে অভিযোগ করেন।
অপর দিকে মের্সাস রুপা ব্রিকসের মালিক মোঃ মুক্ত শেখ দাবী করে বলেন, হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্দে তারা আপিল করেছেন, মহামান্য আদালত আপিল শুনানী না হওয়া পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে বলেছেন । তবে তিনি হাইকোর্টে আফিলের কোন কাগজ দেখাতে পারেনি।