ফিরোজ হোসেন : সাতক্ষীরায় সড়ক পরিবহন আইন -২০১৮ এর বাস্তবায়ন সংক্রান্ত জনসচেতনতা মূলক র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ১০ টায় সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের আয়োজনে খুলনা রোড মোড় হতে এক র্যালি বের হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল সাতক্ষীরায় গিয়ে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।আলোচনা সভায় জেলা ট্রাফিক ইনচার্জ মো.কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা পিলিশ সুপার মোহাম্মাদ মোস্তাফিজুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার বলেন মানুষকে জরিমানা করা সড়ক পরিবহন আইনের উদ্দেশ্য নয়। মানুষের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য সরকার সড়ক পরিবহন আইন কার্যকর করেছে। জরিমানার মাধ্যমে জনগন সচেতন হয়। এক শ্রেনী শ্রমিকদের রক্তচোষা টাকা চাঁদাবাজী করে বিলাসবহল জীবন যাপন করে। চাঁদাবাজী করে নেতামী চলবে না। প্রকৃত নেতা কর্মীদের মাধ্যমে শ্রমিক সংগঠন, বাস মালিক সমিতি পরিচালিত হতে হবে। পরগাছা টাইপের চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সড়কে কোন চাঁদাবাজী চলতে দেওয়া হবে না। চাঁদাবাজী করে আলীসান বাড়ি গাড়ী গড়ে তোলা নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসময় তিনি আরও বলেন যাত্রীদের সচেতন হতে হবে। সড়ক আইন ভঙ্গ করলে যাত্রীদের আইনের আওতায় আসতে হবে। বিআটিএ অফিস হক, পুলিশ হক কাউকে টাকা দেবেন না। বিশ্বের অন্যান্য দেশ বাংলাদেশের সড়ক আইনের চেয়ে অনেক শক্ত। পুলিশ, শ্রমিক ঐক্যবদ্ধভাবে জানযট নিরোশন করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষের কল্যানে কাজ করছে। রাস্তাঘাট তৈরীতে অনিয়ম হলে কাজ বন্ধ করে দেবেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.সালাহ উদ্দিন। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা শ্রমিকলীগের সাধারন সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম মোরশেদ, শ্রমিকনেতা শাহাঙ্গীর হোসেন,জেলা যুবলীগের আহবায়ক আব্দুল হান্নান। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশের ইনস্পেক্টর অপারেশন ( কন্ট্রোল) আজম খান,সদর থানা অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান,ডিআই ওয়ান মিজানুর রহমান। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন শ্রমিকলীগনেতা হামিদুল ইসলাম।