
নিজস্ব প্রতিবেদক: আড়া-আড়ি ক্রসবাঁধ দিয়ে পানি নিষ্কাশন বন্ধ করে দেয়ায় আশাশুনি-তালার লক্ষ লক্ষ হেক্টর জমির রোপা আমন বিনষ্টের পথে। অবৈধভাবে লিজ নেওয়া জলমহাল সাব লিজ দেয়ার জন্য ভয়াবহ ক্ষতি হচ্ছে কৃষকদের।
কাদাকাটি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মফিজুল ইসলাম সাতনদীকে জানান, তালা ও আশাশুনি অঞ্চলের কয়েকটি ইউনিয়নের বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন হয়ে থাকে গাবতলা ও মনোহরপুর গেট দিয়ে। উন্মুক্ত বলুয়ার বাওড়, গোলতলার চক জল মহাল, হামকুড়া নদী, খেজুরডাঙ্গা জলমহাল, কাদাকাটি বিল ফিসারী জলমহাল সহ আরও অসংখ্য জল মহাল জেলা প্রশাসনের ও উপজেলা প্রশাসনের থেকে বদ্ধ দেখিয়ে ইজারা দেয়া হয়। পরে ইজারাদাররা তা সাবলিজ দেয় স্থানীয়দের মধ্যে। সাবলিজ নেয়া ক্ষুদ্র মৎস চাষীরা জলমহালগুলোতে আড়াআড়ি নেট-পাটা ও ক্রসবাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করে। স্লুইচ কানেকটিং এসব জল মহাল দিয়ে পানি নিষ্কাশন বন্ধ প্রায়। ফলে রোপা আমন ধান বিনষ্টের পথে।
কাদাকাটির বিল, মহিষাডাঙ্গীর বিল, দাঁদপুর বিল, মহাজনপুর বিল, গুনাকরকাটি বিলের লক্ষ লক্ষ হেক্টরা জমির ধান বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় রোপা আমন চাষীরা বিপাকে পড়েছে।
এদিকে কাদাকাটি ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মফিজুল ইসলাম মোড়ল কয়েক’শ কৃষক নিয়ে অবৈধ নেট-পাটা অপসারন করেছে। এ ঘটনায় অবৈধভাবে নেট-পাটা ও ক্রসবাঁধ প্রদানকারীরা বাঁধা প্রদান করলে দু’পক্ষের মধ্যে মারপিটের ঘটনাও ঘটে। পরে তা থানা-পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়।
এ ব্যপারে আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ গোলাম কবির সাতনদীকে জানান, বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।