
সচ্চিদানন্দদেসদয়
করোনা ভাইরাসের হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করতে সরকার ব্যাপক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আর এ কাজে যারা সরাসরি জড়িত আছেন তাদের মধ্যে ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা অগ্রনী ভূমিকা পালন করে আসছেন। কিন্তু আশাশুনিতে দায়িত্বরতরা এখনো নিজেদেরকে পূর্ণ নিরাপদ করে তৈরি করতে পারেননি।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, বাড়িতে থাকা, নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত ধোয়াসহ বিভিন্ন নিয়ম মেনে চলার জন্য সরকারি ভাবে জোর তৎপরতা চালান হচ্ছে। এমন কঠিন বাস্তবতার মধ্যে আশাশুনি উপজেলায় মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন যারা তাদের মধ্যে স্বাস্থ্য সহকারী ও সিএইচসিপিরা খুবই শঙ্কার মধ্যে থেকে কাজ করে আসছেন। উপজেলার ১১ ইউনিয়নে ৪০ জন স্বাস্থ্য সহকারী দায়িত্ব পালন করে থাকেন। যারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে করোনা উপসর্গ আছে কিনা, তা খুজে দেখেন। বাচ্চা ও তাদের মায়েদের একেবারে কাছাকাছি গিয়ে টিকা দিয়ে থাকেন। তারা একজন গর্ভবতী মা ও একটি শিশুকে স্পর্শ করেই টিকা দিয়ে থাকেন। অপরদিকে উপজেলার ১১ ইউনিয়নে ৩৮টি কমিউনিটি ক্লিনিকে ৩৮ জন সিএইচসিপি কাজ করে থাকেন। তাদেরকেও নিয়মিত রোগি দেখা, প্রেসার মাপা, ওজন মাপা, রোগির শরীর স্পর্শ করে রোগ নির্নয় করার প্রয়োজন হয়ে থাকে। কিন্তু তাদের সুরক্ষার ব্যাবস্থা কতটা রয়েছে, বিশেষ করে করোনা ভাইরাসের প্রেক্ষাপটে সেটি ভেবে দেখা দরকার। না তাদের জন্য পিপিই, গ্লাবস, মাস্ক কোন কিছুরই ব্যবস্থা করা হয়নি। এব্যাপারে জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জনসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু পদক্ষেপ গ্রহনের দাবী জানানো হয়েছে।
অপর দিকে আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে এ পর্যন্ত ৩১ জনের করোনা ভাইরাস আছে কিনা তা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমন ঠেকাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে জ্বর, স্বর্দি, কাশিতে আক্রান্তদের নমুনা সংগ্রহ কার্যক্রম পুরোদমে এগিয়ে চলেছে। এমটিইউপিআই দিলিপ কুমার ঘোষ, সেনেটারী ইন্সপেক্টর জি এম গোলাম মোস্তফা ও স্বাস্থ্য সহকারী মোক্তারুজ্জামান স্বপনকে নিয়ে ৩ জনের একটি টিম গ্রামে গ্রামে গিয়ে নমুনা সংগ্রহের কাজ করছেন। ইতোমধ্যে তারা ৩১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসে জমা দিয়েছেন। যার এখনো কোন রিপোর্ট এসে পৌছেনি।