নিজস্ব প্রতিবেদক: নারীলোভী স্বামী ও শশুর-শাশুড়ির নির্যাতনের বিচার পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্ত্রী ফজিলা খাতুন। সূত্রে জানা গেছে, কালিগঞ্জ উপজেলার মৌতলা ইউনিয়নের লক্ষ্মীনাথপুর গ্রামের মো. ময়িার রহমানের ছেলে বাদশা আলমের সাথে পলাশপোল মধুমল্লারডাঙ্গী গ্রামের খোরশেদ গাজীর মেয়ে ফজিলা খাতুনের বিয়ে হয়। দেড় লক্ষ টাকা দেন মোহরে ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক পলাশপোলস্থ কাজী অফিসে ২০১৪ সালে তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর তাদের একটি পূত্র সন্তান তাসকিন (৮) জন্ম নেয়। বিয়ের সাত বছর পর বাদশা আলম বিদেশে যাবে বলে স্ত্রী ফজিলা খাতুনের পিতার নিকট থেকে ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা ঋণ হিসেবে গ্রহণ করে। এরপর চোরাই পথে ভারতে গিয়ে কৌশলে পাসপোর্ট ও ভিসা তৈরি করে কুয়েতে যান। ফজিলা খাতুনের স্বামী কুয়েতে যাওয়ার পর থেকে শাশুড়ি হালিমা খাতুন, শশুর মতিয়ার রহমান, ননদ তাহমিনা খাতুন নানানভাবে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে। প্রতিবাদ করলে ফজিলা খাতুনকে মারধর এবং তার স্বামীর সাথে মোবাইলে উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলে অশান্তি সৃষ্টি করতো। এ ঘটনার জেরে ২০২২ সালে মৌতলা ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট অভিযোগ করেও কোনো সুরাহা পাইনি বলে অভিযোগ করেছেন গৃহবধূ ফজিলা খাতুন ও তার পরিবার। ফজিলা খাতুন জানান, আমার স্বামী বিদেশে যাওয়ার পর থেকে শশুর-শাশুড়ি বিভিন্ন উস্কানীমূলক কথা বলে আমাদের পারিবারিক জীবনে অশান্তি সৃষ্টি করতো। ঈদুল ফিতরের ১ মাস আগে জানতে পারি আমার স্বামী দেশে ফিরেছে কিন্তু আমার সাথে কোন যোগাযোগ বা কথাবার্তা বলেনি। পরবর্তীতে আমি জানতে পারি সে দেশে এসে দ্বিতীয় বিয়ে করেছে। এব্যাপারে আমি প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি। অভিযুক্ত স্বামী বাদশা আলমের মা হালিমা খাতুন বলেন, আমার ছেলের বৌ এর উপর কোন নির্যাতন করিনি। ছেলে দ্বিতীয় বিয়ে করেছে কিনা আমরা জানিনা। ছেলে ঈদের পরদিন আবার কুয়েতে চলে গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, গত ১২ অক্টোবর ২০২২ তারিখে ফজিলা খাতুনের শশুর-শাশুড়ি অকত্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। প্রতিবাদ করায় ফজিলা খাতুন বেধরক মারপিট করে। সংবাদ পেয়ে ফজিলা খাতুনের পিতা খোরশেদ গাজী তাদের বাড়িতে গেলে তাকেও অপমান এবং মেরে ফেলার হুমকি দেয় এবং বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এসময় স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে বিষয়টি মিমাংশা করার চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে মৌতলা ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হলেও তারা কোন মিমাংশা মানতে রাজি হয়নি।