
যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার রঘুনাথপুর গ্রামে পারিবারিক কলহে স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যা করে স্বামী নিজেই আত্মহত্যা করেছে।
শনিবার (১৪ জুন) ভোর রাতে ঘরের মধ্যে স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যার পর বাড়ির পাশে গাছে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন স্বামী। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের পাশাপাশি আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
নিহতরা হলেন ওই গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মনিরুজ্জামান (৫২) ও তার স্ত্রী রেহানা খাতুন (৪৫)। এই দম্পত্তির এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। নিহত মনিরুজ্জামান পেশায় ভিক্ষুক ছিলেন। তবে পারিবারিক ভাবে দাবি করা হচ্ছে তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে।
গ্রামের লোকজন জানান, সকালে ঘুম ভাঙতেই বাড়ির লোকজন রেহেনার নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার করতে থাকে। তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে তার মরদেহ উদ্ধার করে। কিছু সময় পর বাড়ির পাশের গাছে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় পাওয়া যায় মনিরুজ্জামানের মরদেহ। পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী মনিরুজ্জামান তার স্ত্রী রেহানাকে প্রথমে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে নিজে গাছে ঝুলে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল মিয়া জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মৃতদেহ ২টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তারা আতœহত্যা করেছে কি না তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে বিষয়টি এই মুহূর্তে বলা সম্ভব না। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে স্বামী স্ত্রীকে হত্যার পর নিজে আত্মহত্যা করেছে।