প্রিন্ট এর তারিখঃ এপ্রিল ২৪, ২০২৫, ৯:৩৯ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯, ৫:৪৮ অপরাহ্ণ
সেবার মান বাড়িয়েছে সাতক্ষীরা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস
ফিরোজ হোসেন: সেবার মান বাড়িয়েছে সাতক্ষীরা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস। প্রতিদিন সাতক্ষীরা পাসপোর্ট অফিস হতে এখন হাজার হাজার মানুষ অনিয়ম হয়রানী ছাড়াই পাসপোর্ট আবেদনের জমা কার্য সম্পন্ন করছে। সাতক্ষীরা পাসপোর্ট অফিসে ২০১৯- অর্থ বছরে চলতি মাস ডিসেম্বরসহ বিগত ৫ মাস পর্যন্ত আয় হয়েছে প্রায় ৭ কোটি টাকা। প্রতিদিন পাসপোর্ট প্রত্যাশীরা প্রায় ৩০০শত পাসপোর্ট ডেলিভারি নিচ্ছেন এবং নতুন পাসপোর্ট প্রত্যাশীরা তিন থেকে সাড়ে ২০০শত পাসপোর্ট আবেদন জমা দিচ্ছেন। সরেজমিনে যেয়ে দেখা যায় সাতক্ষীরা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে কোন হয়রানী ছাড়ায় জেলার বিদেশগামী পাসপোর্ট প্রত্যাশী জনগন সকাল থেকে লাইনে দাড়িয়ে সুশৃঙ্খলভাবে পাসপোর্ট আবেদন জমা দিচ্ছেন। এ বিষয়ে কালিগঞ্জ থানার কাজলা গ্রামের খুকু মনিসহ বিভিন্ন পাসপোর্ট প্রত্যাশীরা জানান ,আমরা কোন ভুগান্তি ছাড়াই লাইনে দাড়িয়ে আবেদন জমা দিয়েছি।
বর্তমানে সাতক্ষীরা পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেনের মেধা,শ্রম আর দূরদর্শিতা সাতক্ষীরা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে সুশৃঙ্খতা ফিরে আসায় গ্রাহকরা নিয়ম মেনে লাইনে দাড়িয়ে পাসপোর্ট আবেদন জমা দিচ্ছেন। কোন হট্টগোল বা বাকবিতন্ড নেই বললেই চলে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে মানুষ পাসপোর্ট জমা দিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে পাসপোর্ট বই পেয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সহকারী পরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সাতক্ষীরা পাসপোর্ট অফিস এখন দালাল মুক্ত। পাসপোর্ট প্রত্যাশীরা স্বশরীরে হাজীর হয়ে পাসপোর্ট আবেদন জমা দিচ্ছেন।
দেশের ৬৯ টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসসহ বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশীদের পাসপোর্ট বই তৈরী হয় ঢাকা থেকে। যে কারনে বই আসতে একটু দেরী হয়। তাছাড়া সাতক্ষীরাসহ অন্যান্য পাসপোর্ট অফিসে শুরুতে যে পরিমান লোক আসতো তার তুলনায় দ্বিগুন গ্রাহক বৃদ্ধি পেয়েছে। তার পরও পাসপোর্ট প্রত্যাশীদের কোন হয়রানী ছাড়া বা দালাল মুক্ত সেবা প্রদান করে যাচ্ছি। তিনি আরও বলেন কিছু সুভিধাভোগী লোক আছে যারা অবৈধভাবে সুবিধা আদায়ের জন্য মানুষ কে ঠকায়। গ্রাহকদের সচেতন হলে প্রতিষ্ঠানের সুনাম অক্ষুন্ন থাকবে।
Copyright © 2025 দৈনিক সাতনদী. All rights reserved.