সেই ডাকাতরা কোথায় কেবল চাল চোর দেখি! বিগত ১৪ বছরে ওরা প্রায় ৯লাখ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। সেই লুটেরারা আজ কই? যারা বিগত দিনে ব্যাংকের ৩০হাজার কোটি টাকা লুটে নিয়ে গেছে! যেটি খেলাপি ঋণের বাইরে হদিসই মিলেনি! সেই শেয়ারবাজার লুটেরারা কই যারা ১লাখ ৫০হাজার কোটি টাকা বারে বারে লুটে বিনিয়োগকারীদের পথে বসিয়েছে? সেইসব ব্যবসায়ী কই আজ যারা ১১ বছর সরকারের ছায়ায় একচ্ছত্র ব্যবসা বাণিজ্য করেছে? তারা ক'জন আজ কই যাদের হাতে উঠেছিলো দেশের অর্থনীতি? করোনার মহাপ্রলয়ে প্রধানমন্ত্রী যখন কঠিন যুদ্ধ করছেন, মানুষের জীবন ও অর্থনীতির লড়াইয়ে, ঘরে ঘরে খাবার দিতে তখন তাদের হদিস দেখিনা কোথাও কেনো? রাষ্ট্র রিলিফ চোর, চাল চোর ধরতে পারে ওদের সেদিনও ধরেনি আজও ধরে এনে অর্থ আদায় কেনো করতে পারেনা ?
১১বছর আগে যাদের কোথাও কিছু ছিলো না, সরকারি দলের পদ পদবি ক্ষমতা যাদের অঢেল অর্থবিত্ত দিয়েছে,গ্রামে আলিশান বাড়ি, ঢাকায় রাজকীয় ফ্ল্যাট, বিদেশে সম্পদ, কাঁচা টাকা হয়েছে তাদের পাকড়াও করে কেনো জনগণের জন্য এ মহাদুঃসময়ে অর্থ আদায় করা হচ্ছে না?
সারাদেশে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের পরও এই মহাদুঃসময়ে যারা রিলিফের, ত্রানের চাল চুরি করছে ওরা মানুষ নয়,নষ্ট রাজনীতির দূর্নীতির অভিশাপ। করোনা ভাইরাসের চেয়েও ভয়ংকর। এদের বরখাস্ত কঠিন শাস্তি অনিবার্য। যারা দেশের উন্নয়ন বরাদ্দের টাকা লুট করেছে, ঘুষ খেয়েছে বেসুমার, হরিলুট করেছে রাষ্ট্রের অর্থ, জনগণের সম্পদ, তাদেরও আজ পাকড়াও করে করোনায় নেমে আসা জাতির কঠিন সময়ে অর্থ আদায় করার সময়। লুটেরারা যে মানসিক দরিদ্র লোভী অমানবিক জাতির দুর্দিনে শীর্ষ পর্যায় থেকে তৃণমূলেও দেখা যাচ্ছে। লুটেরা ডাকাত ধরা যায় না,চোর ধরা যায়। ডাকাত ও লুটেরাদের কাছ থেকে চাপের মুখে আদায়তো করা যায়। গোটা দেশ লড়ছে।মানবিক সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে,রাষ্ট্রের ডাকাতরা কেনো নয়?
লেথক: নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন
পূর্বপশ্চিম - এনই