
নিজস্ব প্রতিবেদক:
শ্বেতপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সুমিতার বিরুদ্ধে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক চিত্তরজ্ঞন ভট্টাচার্যকে ভয়ভীতিকর হুমকি প্রদান সহ হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি আশাশুনি উপজেলার ক‚ল্যা ইউনিয়নের ক‚ল্যা গ্রামের।
সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ক‚ল্যা গ্রামের চিত্তরজ্ঞন ভট্টাচার্য জানান,তারাই নিকট আত্মীয় হাজারিলাল চৌধুরীর নিকট থেকে দুই দফায় ৪০ শতক এবং সুধীর ঘোষের নিকট থেকে ১৫ শতক জমি ক্রয় করে দীর্ঘদিন বসবাস করছেন। তার ভোগ দখলে থাকা জমির ঘেরা-বেড়া ৬ জুলাই কেটে সাবাড় করে শিক্ষিকা সুমিতা চৌধুরী। এ সময় তিনি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক চিত্তরজ্ঞন ভট্টাচার্যকে ভয়ভীতিকর হুমকি প্রদর্শনসহ অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করে। স্থানীয় থানায় শিক্ষিকা সুমিতা চৌধুরী চিত্তরজ্ঞন ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগও দেয়। চিত্তরজ্ঞন ভট্টাচার্যও পাল্টা অভিযোগ দিয়েছেন থানায়।
হাজারীলাল চৌধুরীর পুত্র মৃত্যুজ্ঞয় চৌধুরী সম্প্রতি ৪ শতক জমি বিক্রয় করে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আশুতোষ বিশ্বাসের কাছে। এ ঘটনার পর আশুতোষ বিশ্বাসের খোঁজ না মিললেও তৃতীয় পক্ষ হজারীলাল চৌধুরীর কন্যা কলারোয়ার গৃহবধু শ্বেতপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সুমিতা চৌধুরী অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক চিত্তরজ্ঞন ভট্টাচার্যের ক্রয় করা ভোগদখলকৃত জমি গায়ের জোরে জবর-দখল করতে মাঠে নেমেছেন।
এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মাজেদ গাজী সাতনদীকে জানান, শিক্ষিকা সুমিতা চৌধুরী শিক্ষক চিত্তরজ্ঞন ভট্টাচার্যের ঘেরা-বেড়া কেটে ফৌজদারী অপরাধ করেছেন। স্থানীয়দের শালিশ-বিচারের মাধ্যমে চিত্তরজ্ঞন ভট্টচার্য তার ক্রয়কৃত ৫৫ শতক জমি ভোগদখল করেন।
এ ব্যাপারে মৃত্যুজ্ঞয় চৌধুরীর বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার স্ত্রী লাকী চৌধুরী এবং মাতা নিভা চৌধুরী সাতনদীকে জানান,তারা বিষয়টি বোঝেন না। বিষয়টি সুমিতা চৌধুরী দেখছেন। মৃত্যুজ্ঞয় চৌধুরীর মোবাইল নম্বর তারা জানেন না বলেও জানান।