
আব্রাহাম লিংকন , শ্যামনগর থেকে: সুন্দরবনের দুবলার চরের (আলোর কোল) রাস মেলায় সরকারি ভাবে ডিউটির শেষে বুড়িগোয়ালীনি ফরেষ্ট ঘাটে ট্রলার আটক করে উৎকোচের দাবি করছে বনবিভাগ। এ বিষয়ে ট্রলার মালিক বন বিভাগ ও পুলিশ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সূত্র জানান, সুন্দরবনের দুবলার চর (আলোর কোল) পূর্ণিমার রাস মেলায় তীর্থযাত্রী ও দর্শন যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তার ডিউটির জন্য জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশক্রমে জেলা এস আই এবি (১১) মোঃ সিদ্দিকুর রহমানকে প্রধান করে সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনের এ এস আই এবি ১৯১ মোঃ সাইফুর রহমান ৪ জন কনস্টেবল সহ শ্যামনগর থানার এসআই রিপন মল্লিক গত ৬ নভেম্বর বুড়িগোয়ালিনী নীলডুমুর ঘাট থেকে রিপন ও সোহেলের ট্রলার নিয়ে সুন্দরবনের দুবলার চরে রাস মেলায় সরকারি ভাবে ডিউটিতে যান। ডিউটি শেষ করে নির্ধারিত পথে গত ৮ নভেম্বর বিকালে বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট ঘাটে নোঙ্গর করলে পুলিশ সদস্যরা উপরে উঠে আসে। এ সময় বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন কর্মকর্তা ট্রলারে একজন লোক বেশি যাওয়ার অপরাধে আটক করে। পরবর্তীতে ট্রলারটি ছেড়ে দেওয়ার জন্য স্টেশন কর্মকর্তা ট্রলার মালিকের কাছে পঞ্চাশ হাজার টাকা উৎকোচ দাবি করে। ট্রলার আটকের বিষয়ে রিপন ও সোহেল সাংবাদিকদের মাধ্যমে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ ও সহকারী পুলিশ সুপার কালিগঞ্জ সার্কেলকে অবহিত করেন। এ বিষয়ে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ ও কালিগঞ্জ সার্কেল এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তারা বলেন এ বিষয়ে সাতক্ষীরা রেঞ্চ কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে। রাস মেলার ডিউটি নিয়ে কোন ঝামেলা নেই তবে ট্রলার মালিকের সাথে কোন ঝামেলা রয়েছে। আপনারা বনবিভাগের সাথে কথা বলেন।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা রেঞ্জ কর্মকর্তার মুঠোফোন বারবার যোগাযোগ করেও ফোনটি রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি। বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন কর্মকর্তা নুরুল আলমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন একজন লোক বেশি থাকায় ট্রলারটি আটক করা হয়েছে। সেই লোকটির জরিমানা না করে ছেড়ে দিলেন কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি সঠিক উত্তর দিতে পারেননি। এছাড়া টাকা চাওয়ার বিষয়টি সত্য নয় বলে জানান। গরিব অসহায় ট্রলার মালিকগণ বন বিভাগের ও পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।