
শ্যামনগর প্রতিনিধিঃ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আস্থাভাজন ফ্যাসিস্টের সহযোগী সাংবাদিক,সীমান্ত প্রেসক্লাবের সভাপতি পদ আকড়ে রেখেছেন দীর্ঘদিন ধরে। দলীয় প্রভাব বিস্তার করে ২০২২ সালে সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলার ভেটাখালী নাম মাত্র সীমান্ত প্রেসক্লাবের সভাপতি পদ বাগিয়ে নেন নুরুন্নবী।
আওয়ামী সরকারের তৎকালীন এমপি জগলুল হায়দার ও আতাউল হক দোলনের যোগসাজশে পরবর্তীতে অভিষেক অনুষ্ঠান করেন এই তৎকালীন ও বর্তমান নবগঠিত ব্যাক্তি। একই ব্যক্তি আওয়ামী সরকার পতনের পর আবারও ভোল পাল্টে নিজেকে জুলাই অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তি প্রমাণ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। ২০২৪ এর ৫ আগষ্টের পর উপজেলা বিএনপি-জামায়াত সহ অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তির সাথে মিলেমিশে ব্যক্তি ফায়দা হাসিল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আওয়ামী সরকারের এমপি সহ জেলা উপজেলা নেতাকর্মীদের আস্থাভাজন এই সীমান্ত প্রেসক্লাবের গঠিত কমিটির সাংবাদিকগণ।তবে আওয়ামী সরকার পতনের পর সীমান্ত প্রেসক্লাবের বেশির ভাগ সদস্য ও দায়িত্বশীলরা প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা হুমায়ুন কবিরের কাছে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতি,অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগ দিলে উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির ক্লাবের সকলকে নিয়ে জরুরি আলোচনা সভার আহবান করেন একপর্যায়ে সভাপতি নুরুন্নবী,সাধারণ সম্পাদক আব্রাহাম লিংকন নানা অজুহাতে উপস্থিত না হওয়ায় উপদেষ্টা কমিটি বিলুপ্তি করে একই সাথে সীমান্ত প্রেসক্লাবের সকল কার্যক্রম স্থগিত করে,এর ভিতরেই জামায়াত ইসলামী ও বিএনপির কিছু সংখ্যক নেতাকর্মী ম্যানেজ করে নুরুন্নবী ও লিংকন নিজেরাই সীমান্ত প্রেসক্লাবের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক করে আওয়ামীলীগের প্রকাশ্য নেতা কর্মী নিয়ে কমিটি গঠন করেন এমন কিছু ব্যক্তি সীমান্ত প্রেসক্লাবের কমিটিতে আনেন যাহারা পূর্বে ও বর্তমানে কোনো সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত নেই,তবে নাম মাত্র সাংবাদিকতা ও মনগড়া সীমান্ত প্রেসক্লাবের পদ পদবী ব্যবহারের জন্য অনিবন্ধিত অনলাইন পোর্টালের সাংবাদিক বানিয়ে নেন।
এছাড়া সাংবাদিক নেতা পরিচয় দিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে প্রভাব বিস্তার করে আসছেন। প্রেসক্লাবের ২০২৫ সালের ব্যক্তির স্বার্থে পকেট কমিটি নামে ১ নভেম্বর শনিবার গঠিত কমিটিতে নিজেকে নুরুন্নবী সভাপতি সাধারণ সম্পাদক আওয়ামীলীগের এমপি আতাউল হক দোলনের আপন ফুফাতো ভাই আওয়ামীলীগ নেতা আলমামুনের ছেলে ফ্যাসিস্টের দোসর আব্রাহাম লিংকনকে সাধারণ সম্পাদক ও রমজাননগর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ নেতা মহসিন হুদাকে সিনিয়র সহ-সভাপতি, কৈখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা শাহিন সহ-সভাপতি,রমজাননগর ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এমপি আতাউল হক দোলনের ভাতিজা লিয়নকে সাংগঠনিক সম্পাদক, এছাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুর রহমানকে প্রচার সম্পাদক করে,আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল বারী মেম্বারের ছেলে আওয়ামী নেতা ইউনুস ও যুবলীগ কর্মী মাদকাসক্ত সাঈদ জীবন,কৈখালী ভূমি অফিসের পরিচ্ছন্ন কর্মী বাদশাহ এর ভাই ভূমি অফিসের দালাল হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক ইদ্রিস কে কোষাধ্যক্ষ করে কমিটি ঘোষণা করে একটি তালিকা প্রকাশ করেছেন। এ ঘটনায় সাতক্ষীরায় সাংবাদিক মহলের পাশাপাশি সাধারণ জনতা ফুসে উঠেছেন। বিগত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের সময় নিরপেক্ষ সংবাদকর্মীদের কোনঠাসা করে রাখা সদস্যদের সাথে নিয়ে এই কমিটি গঠন করে নুরুন্নবী সিন্ডিকেট।
এমন ঘটনায় রাজনৈতিক মহলেও উঠেছে নানা আলোচনা। প্রেসক্লাবটির তৎকালীন নিরপেক্ষ সদস্যরা যারা একই ব্যাক্তিদের দ্বারা কোনঠাসা ছিলো তাদের অনেকেই প্রেসক্লাবটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে। রাজনৈতিক মহলে আলোচনা উঠেছে এ ধরনের সাংবাদিকরা ফ্যাসিবাদী শক্তিকে আবারও পুণর্গঠনের কাজ শক্তিশালী করার জন্য অন্যতম ভুমিকা রাখবে।
নাম মাত্র সীমান্ত প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির বলেন গঠিত এই কমিটি সম্পর্কে আমাকে জানানো হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণা করে নতুন কমিটি গঠন করার কথা থাকলেও কোন নিয়ম মানা হয়নি। প্রকাশিত কমিটি নিয়ে হুমায়ুন কবির তার ফেসবুক পোস্টে লিখেন সীমান্ত প্রেসক্লাব এবং সীমান্তবর্তী প্রেসক্লাব সহ সকল সাংবাদিক সংগঠন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করিলাম।
এদিকে সীমান্তবর্তী প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহবুব খোকন জানান হুমায়ুন কবির সীমান্তবর্তী প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা তো দূরের কথা তিনি সদস্য ও ছিলেন না।

