আহাদুর রহমান (জনি): ভোমরা স্থলবন্দরের বিপরীতে ভঅরতের ঘোজাডাঙ্গা কাস্টমস্ শুল্ক স্টেশনের পার্শ্ববর্তী বেসরকারি পার্কিংগুলোতে সিরিয়ালের নামে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবীতে কর্মসূচির ঘোষণা করেছে ভোমরা স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্টস্ এসোসিয়েশ।
ভোমরা স্থলবন্দরের আমদানিকারকগণ, সিএন্ডএফ কর্মচারি এসোসিয়েশন, শ্রমিক ইউনিয়নসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের সাথে ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের আহবায়ক কমিটি’র উদ্যোগে যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনগুলোর মতামতের ভিত্তিতে ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষার জন্য বাস্তবমুখী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে তারা একমত হন।
যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ হলো:
ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের ঘোষিত কর্মসূচী ২৫জানুয়ারি থেকে শুরু হবে। এই কর্মসূচীর মধ্যে প্রথম দিন ২৫ জানুয়ারি মঙ্গলবার ভোমরার স্থানীয় সংগঠন ও সাতক্ষীরার বিভিন্ন সংগঠনের সাথে মতবিনিময় ও প্রচারণামূলক কর্মসূচী। দ্বিতীয় দিন ২৭ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ভোমরার স্থানীয় সংগঠন ও সাতক্ষীরার বিভিন্ন সংগঠনের সাথে মতবিনিময় ও প্রচারণামূলক কর্মসূচী। তৃতীয় দিন শনিবার ২৯ জানুয়ারি সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ২ ঘন্টা কর্মবিরতি ও মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হবে। চতুর্থদিন রবিবার ৩০ জানুয়ারি সকাল ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত ৩ ঘন্টা কর্মবিরতি ও মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হবে। পঞ্চমদিন সোমবার ৩১ জানুয়ারি সকাল ১০টা থেকে ২টা পর্যন্ত ৪ ঘন্টা কর্মবিরতি ও মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হবে। তারপর দাবী আদায় না হলে পহেলা ফেব্রæয়ারি থেকে লাগাতার কর্মবিরতির কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ভামরা স্থলবন্দরের বিপরীতে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা কাস্টমস্ শুল্ক স্টেশনের পার্শ্ববর্তী বেসরকারি পার্কিংগুলোতে সিরিয়ালের নামে চাঁদাবাজি অব্যাহত রয়েছে। ফলে বাংলাদেশি আমদানিকারকরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে। যার ফলে দেশের অন্যান্য বন্দরের তুলনায় ভোমরা বন্দরে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। অপরদিকে আমদানিজাত পন্যের প্রকারভেদে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা ট্রাক প্রতি চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। টাকা না দিলে বেসরকারি পার্কিং ইয়ার্ডে ৩০ থেকে ৪৫ দিন পর্যন্ত ট্রাক আটকে রাখা হচ্ছে।
সিরিয়ালের নামে চাঁদাবাজির প্রতিবাদে সিএন্ডএফ’র কর্মসূচি ঘোষণা
পূর্ববর্তী পোস্ট