নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের পরিচালকের পিএস মাসুদুর রহমান এখন নিজের কলেজের অধ্যক্ষ। নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে টাকার বিনিময়ে শিক্ষক নিয়োগ ও মানহীন পাঠদানসহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চাকরি দেয়ার নাম করে বিপুল পরিমান সম্পদের মালিক হয়েছে এমন অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে।
বেশ কিছুদিন ধরেই সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের পিএস এর দায়িত্ব পালন করে আসছে মাসুদুর রহমান। গ্রামের বাড়ি নলতায় হওয়ায় একটি প্রভাবশালী মহলের সাথে থেকে ধরাকে সরা জ্ঞান করে নানা অভিযোগ থাকার পরও পেশি শক্তি বলে টিকে আছে মাসুদুর। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন পদে নিয়োগ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ২ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বহু মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়েছে। এছাড়াও নিয়মিত হাসপাতালের বিভিন্ন সেক্টর থেকে বরাদ্দ লোপাটের মধ্য দিয়ে চলতে থাকে দুর্নীতি। সেই টাকায় বিপুল সম্পদের মালিক বনে যায় মাসুদুর। সুলতানপুরে একটি বহুতল ভবন ও একটি প্রাইভেট কারও আছে তার। সম্প্রতি সাতক্ষীরা সদরের ইটাগাছায় শ্বাশুড়ির জমির ওপর একটি কলেজিয়েট স্কুল প্রতিষ্ঠা করে সে। যার নাম খান বাহাদুর আহছানউল্লা কলেজিয়েট স্কুল। খাতা কলমে কোন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা না থাকলেও অনিয়ম করে নিজের প্রতিষ্ঠিত স্কুলটির স্বঘোষিত অধ্যক্ষ পদটি নেয় সে। এছাড়াও ২-৪ লাখ টাকা নিয়ে ৭জন শিক্ষককে নিয়োগ দেয়া হয়। যাদের এ পর্যন্ত কোন বেতন-ভাতাদি পরিশোধ করা হয়নি। এর মধ্যে শিক্ষিকাদের অবস্থা বেশ সংকটাপন্ন। নিজ বাড়ির বিভিন্ন প্রোগ্রামে শিক্ষিকাদের আয়া-বুয়ার মতো কাজ করানোর অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। সম্প্রতি দুই শিক্ষিকা বকেয়া বেতন চায় মাসুদুর রহমানের কাছে। কিন্তু তাদের বেতন দিতে রাজি হয়নি মাসুদুর। তবে অশ্লীল গালিগালাজ করে তার দেয়া কু-প্রস্তাবে রাজি হলেই বেতন মিলতে পারে এমন কথা শুনার পর নিজেদের সম্ভ্রম বাচাতে বেতনের দাবি পেছনে ফেলে ছেড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ছেড়ে আসেন ওই দুই শিক্ষিকা। এছাড়াও অভিযোগ আছে স্কুলটির কয়েকজন শিক্ষক সাবেক শিবির ক্যাডার। কোন রকম অনুমোদন বিহীন প্রতিষ্ঠানটিতে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করিয়ে বিপদে আছেন অভিভাবকরা। তবে তার শক্তি প্রভাবের কাছে নত হয়ে কেউ মুখ খুলতে রাজি হয়নি।
তবে মাসুদুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে উল্টো প্রতারকচক্র আখ্যা দিয়ে এসব অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়নি। তার এসব অপকর্ম রুখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।