সামনে জাতীয় নির্বাচন চ্যালেঞ্জিং হবে বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত দলকে আরও শক্তিশালী, সুসংগঠিত করতে দলের নেতা–কর্মীদের নির্দেশ প্রদান করেছেন। তিনি বলেন, উন্নয়নের কথা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি মানুষের আস্থা–বিশ্বাসও অর্জন করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সোমবার দুপুরে গণভবনে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের এক সভায় এসব কথা বলেন। এ সময় শেখ হাসিনা দলের দুঃসময়ের নেতা–কর্মীরা যেন অবহেলিত না হয় সে বিষয়ে বিশেষ দৃষ্টি দিতে নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, দুঃসময়ের নেতা–কর্মীরাই দলের দুঃসময়ে এবং যেকোনো প্রয়োজনে পাশে থাকবেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার একমাত্র শক্তি আমার সংগঠন। সাংগঠনিক শক্তি না থাকলে বড় কোনো অর্জন সম্ভব হয় না। তাই দলকে সুসংগঠিত করতে হবে তৃণমূল পর্যায়ে থেকে।’
অনেকেই চায় না আমাদের দেশটি এগিয়ে যাক—এ প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক চক্রান্তের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যাদের উসকানিতে বিএনপি আজ লাফাচ্ছে তারা কিন্তু তাদের ক্ষমতায় বসাবে না। তারা শুধু তাদেরকে ব্যবহার করবে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু সে চেষ্টা কখনোই সফল হয়নি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আজ মানুষের মন জয় করে শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগকে আরও শক্তিশালী করা দরকার মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাবা–মা, ভাই সবাইকে হারানোর পর আওয়ামী লীগই আমার পরিবার। বাংলাদেশের জনগণ আমার সমস্ত শক্তি। তারাই আমার একমাত্র ভরসা। তাদের জীবনমান উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। করোনা মহামারির মধ্যে আওয়ামী লীগই একমাত্র দল যারা সবচেয়ে বেশি মানুষের পাশে থেকে অবদান রেখেছে।’
ঢাকা ১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাতকে সবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আরাফাতকে আপনাদের হাতে তুলে দিলাম নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধভাবে সবাই মিলে কাজ করবেন।’
বিএনপির নির্বাচন মানে ‘দশটা হোন্ডা ২০টা গুন্ডা, নির্বাচন ঠান্ডা’ এ কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো ভোটারবিহীন নির্বাচন করেনি। ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছেন খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, ফারুক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহমুদ, দীপু মনি, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান, সাধারণ সম্পাদক, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, ছাত্রলীগের সভাপতিসহ বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড এবং সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।