তালা অফিস থেকে নজরুল ইসলামঃ
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক, সাবেক দু,বারের সংসদ সদস্য ও জনপ্রিয় রাজনীতিক হাবিবুল ইসলাম হাবিব।
সোমবার সন্ধ্যায় বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে সাতক্ষীরা-১ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হিসাবে হাবিবুল ইসলাম হাবিবের নাম ঘোষণার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে আনন্দের ঢেউ। হাজারো কর্মী-সমর্থক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনের বার্তায় ভরিয়ে দেন ফেসবুক, মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপের নিউজফিড।
মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকেই পুরো তালা-কলারোয়া জুড়ে বইছে আনন্দের জোয়ার। শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত সর্বত্রই চলছে মিষ্টি বিতরণ, দোয়া মাহফিল ও আনন্দ মিছিল। স্লোগানে মুখর প্রতিটি জনপদে ছড়িয়ে পড়েছে উচ্ছ্বাসের আমেজ।
দেশের বিভিন্ন জেলায় বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার পর কোথাও কোথাও দেখা দিয়েছে উত্তেজনা, বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ প্রতিবাদ সভার মতন ঘটনা। বেশ কিছু আসনে দলীয় প্রার্থীর তালিকা প্রকাশের পর স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা গেলেও সাতক্ষীরা-১ আসনে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। এখানে মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকেই পরিবেশ উৎসবমুখর। স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এটি সম্ভব হয়েছে সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবের নেতৃত্ব, সাংগঠনিক দক্ষতা ও জনপ্রিয়তার কারণে।
দীর্ঘদিন পর প্রিয় নেতাকে মাঠে ফিরে পেয়ে সাধারণ মানুষ যেমন উচ্ছ্বসিত, তেমনি তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে নতুন উদ্দীপনা। তার নির্বাচনী এলাকার বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা আনন্দ মিছিল করেছেন।
হাবিবুল ইসলাম হাবিব ২০০১ সালে বিএনপির মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সেই সময় তিনি শিক্ষা, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য ও কৃষিক্ষেত্রে দৃশ্যমান উন্নয়নমূলক কাজ করেন। তাঁর রাজনৈতিক জীবনে তিনি সবসময় জনগণের অধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আপসহীন ছিলেন।
তবে পরবর্তীতে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে তিনি আলোচিত ২০০২ সালের শেখ হাসিনার গাড়িবহর হামলা মামলায় আসামি হন। আদালত তাঁকে এই মামলায় ৭০ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন। দীর্ঘ ৪ বছর সময় ধরে কারাভোগের পর তিনি আইনগত লড়াইয়ে জামিন প্রাপ্ত এবং নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে উচ্চ আদালত থেকে পূর্ণ খালাস পান।
তৃণমূল নেতা-কর্মীরা বলেন,হাবিব ভাইয়ের নেতৃত্বে বিএনপি মাঠে শক্ত অবস্থানে আছেন। তিনি দলীয় প্রার্থী হলেও তার রয়েছে সর্বদলীয় সাধারণ মানুষের মাঝে গ্রহনযোগ্যতা। তিনি সংসদ সদস্য থাকাকালে ব্যক্তি আক্রোশে কাউকে ক্ষতিগ্রস্ত না করায় আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।
তালা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মৃণাল কান্তি রায় বলেন,হাবিবুল ইসলাম হাবিব এমন একজন নেতা, যিনি সব সময় জনগণের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে তালা-কলারোয়ার মানুষ ঐক্যবদ্ধ। মনোনয়ন ঘোষণার পর এখানে কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নিÑএটাই প্রমাণ করে হাবিব ভাইয়ের নেতৃত্বে বিএনপি কতটা সংগঠিত এবং ঐক্যবন্ধ।
সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব বলেন,এই মনোনয়ন শুধু আমার নয়, এটি তালা-কলারোয়ার জনগণের প্রাপ্য। আমি জনগণের ভোটে গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার পুনরুদ্ধার ও উন্নয়নের সংগ্রাম অব্যহত থাকবে ইনশাল্লাহ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিএনপির এই প্রার্থিতায় সাতক্ষীরা-১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে হাড্ডাহাড্ডি। তাঁর জনভিত্তি, তৃণমূলের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ ও দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা বিএনপিকে এ আসনে নতুন প্রাণ দিয়েছে। তাছাড়া প্রার্থীর ব্যক্তি যোগ্যতায় সকল দলের মানুষের মধ্যে রয়েছে গ্রহনযোগ্যতা এটিও নির্বাচনে তার সফলতা বয়ে আনবে।