নিজস্ব প্রতিবেদক: মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সেটেলমেন্ট অফিসার সফিউল্লাহ কতৃক হয়রানীর প্রতিবাদে যৌথ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। যৌথ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শ্যামনগরের রমজাননগর গ্রামের মৃত সুরেন্দ্র নাথের পুত্র পরেশ চন্দ্র সরদার। লিখিত বক্তব্যে পরেশ চন্দ্র সসরদার বলেন আমরা শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর মৌজার এস এ ৫৭২ খতিয়ানের ১৫২৭ দাগের আটআনা অংশের ৯১ শতক জমির মালিক। এই জমি নিয়ে দেওয়ানী আদালত সাতক্ষীরায় ৯০/৯৬ নং মামলায় আমি জয়লাভ করি। এই জমি ভিপি খ তপশিল হিসাবে বাংলাদেশ সরকারের নামে রেকড হলে আইন মোতাবেক আমি আপীল কেস নং- ৬৪১৯৪/২২ দায়ের করি। এই মামলায় আজ ১৭/১০/২০২৩ তারিখ সাতক্ষীরার সদর সেটেলমেন্ট অফিসের পেশকার তদন্ত করে আমার দখল প্রমান পেয়ে আমার পক্ষে রিপোট দেয় এবং আমাকে ফোন করে ডেকে এনে শুনানী করেন। শুনানীর সময় সেটেলমেন্ট অফিসার সফিউল্যাহকে আমি দেওয়ানী আদালতের রায় দেখানোর পরে তিনি বলেন ওসব দেখার সময় নেই। জজ যে ভাবে রায় দেবে আর আমি তাই দেখে এখানে বিচার করবো? তিনি আমাকে বলেন কুকুরের মত ঘেউ ঘেউ করে এই অফিসে ঘুরছেন কেন? আমাকে চেনেন? আমার জামাই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে চাকুরী করে, রাষ্ট্রপতির সাথে তার না কি খাতির। তিনি আরও বলেন আমার বাড়ী পাবনা কোন সচিব মন্ত্রীর আমি ধার ধারি না। তিনি আমার কাছে এক লাখ টাকা দাবী করেন। টাকা না দিলে আমার জমি অন্য লোকের নামে রেকড করে দেবে। আমি একজন বৃদ্ধা, আমার সাথে এই ধরনের ব্যাবহার করার সময় সেখানে রমজাননগর ইউনিয়নের ২ নং ওয়াডের ইউ, পি সদস্য সোহরাব হোসেন, সাংবাদিক মোঃ হুমায়ুন কবিরসহ বহু লোকজন সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে আমি ভুমি জপির অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নিকটে অনলাইনে অভিযোগ করেছি।
এ ছাড়া রমজানগর ইউনিয়নের ২ নং ওয়াডের ইউ, পি সদস্য বলেন তার ওয়াডের পানি নিসস্কাষনের খাস খালে ২০১৩ সালে ৪৬২৬০নং আপীল কেস খারিজ হয়েছে। একই ব্যাক্তি ৬৩৮৪২/২২ নং আপীল কেস দায়ে করেছে যে শুনানী করারই কোন সুযোগ নেই। অথচ আপীল অফিসার সফিউল্লাহ ঘুষ নিয়ে খাস খাল রেকড দিচ্ছেন।