মাসুদুর রহমান মাসুদ : সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি’র পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এশরাক আলী’র (ইসু মিয়া) ২১তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ। তিনি সাতক্ষীরা শহরের মুনজিতপুর গ্রামের মরহুম মীর ওয়াজেদ আলীর পুত্র। ২০০০ সালের ১৯ জুলাই মৃত্যুবরন করেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সংগঠক মীর এশরাক আলী একাধারে একজন সমাজসেবক, শিক্ষানুরাগি, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল কর্তা ব্যক্তি ও সাতক্ষীরার উন্নয়নের রুপকার ছিলেন।
মরহুমের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে মীর এশরাক আলী’র (ইসু মিয়া) সাতক্ষীরা শহরের স্কুল কলেজ, মসজিদ মাদ্রাসা ঈদগাহের সাথে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সংযুক্ত ছিলেন। তিনি সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজ ও নবারুন গার্লস স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তিনি সাতক্ষীরা সিটি কলেজের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এর অর্গানাইজিং কমিটির সদস্য ও কলেজের উন্নমূলক কর্মকান্ডের জন্য গঠিত কমিটির সভাপতি ছিলেন। তিনি ১৯৮৭-৮৮ সাল হতে ১৯৯৫-৯৬ সাল পর্যন্ত সাতক্ষীরা চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর উর্দ্ধতন সহ সভাপতি ছিলেন।
মীর ইসু মিয়া তার জীবদ্দশায় একজন বিশিষ্ট ক্রীড়াবীদ, ক্রীড়া সংগঠক ও ক্রীড়ানুরাগী ব্যক্তি হিসেবে বিশেষ সুপরিচিত ছিলেন। তিনি তদানীন্তন সাতক্ষীরা মহাকুমা (বর্তমান জেলা) ক্রীড়া সংস্থার ১৯৭২--১৯৭৪ পর্যন্ত সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি সাতক্ষীরা টাউন স্পোর্টিং ক্লাব ও ফ্রেন্ডস ডেমোক্রেটিক ক্লাবের সহ সভাপতি ছিলেন। এছাড়া তিনি সাতক্ষীরা সাংস্কৃতিক পরিষদের সহ সভাপতি, সাতক্ষীরা শহর রিক্সা ভ্যান সমিতি ও সাতক্ষীরা শহর মাঝি সমিতির সাধারন সম্পাদকও ছিলেন।
তিনি বাংলাদেশের বিখ্যাত সমাজ কল্যান সংস্থা ইসলামী একাডেমি এর জন্মলগ্ন থেকে এর সহ সভাপতি ছিলেন। সাতক্ষীরার প্রখ্যাত রেফায়ী জামে মসজিদটি তার ঐকান্তিক সহযেগিতায় প্রতিষ্ঠিত হয়।
স্কুল কলেজ মসজিদ মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন সমাজ উন্নমূলক কর্মকান্ডে সাতক্ষীরার সকল স্তরে তিনি সহযোগিতা করেছিলেন। সাতক্ষীরার সকল জনকল্যানমূলক কাজ ও সমাজ কল্যান সংস্থায় বিশেষ বিশেষ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তদানীন্তন সময়ে সাতক্ষীরার প্রশাসন ও সাতক্ষীরার বিশেষ ব্যক্তিরা বিভিন্ন উন্নমূলক কাজে তার পরামর্শ কামনা করতেন। তিনি একজন বিশিষ্ট সমাজকর্মী ও পরোপকারী ব্যক্তি হিসেবে জেলাবাসীর কাছে সুপরিচিত ছিলেন। তার মৃত্যুতে সাতক্ষীরা জেলাবাসী একজন গুনী ব্যক্তিকে হারিয়েছেন।