ফিরোজ হোসেন: সাতক্ষীরা সদরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক সরকারী কর্মকর্তাকে জীবন নাশের হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সদর উপজেলার মাগুরা গ্রামের শেখ আজিজুর রহমানের পুত্র তালা সদর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা শেখ আনিছুর রহমান জানান, আমি জমি ক্রয় করে মাগুরা ইট ভাটা সংলগ্ন এলাকায় কয়েক বছর যাবৎ শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছি। আমার বাড়িতে যাওয়ার জন্য ঘরোয়া পথ আছে। সেই পথ দিয়ে আমার বাড়ির পেছনে বসবাসকারি জনৈক মোঃ আবুল কালাম এর পরিবার যাতায়াত করে। সে আমার জমির পূর্বের মালিক মৃত শিবপদর সাথে একটি ১.০৪ একর জমি এওয়াজ করেন। উক্ত জমি বাবদ আমার জমির পূর্ব পার্শ্ব দিয়ে ৭ ফুট ৪ ইঞ্চি চওড়া এবং ৪৬ ফুট লম্বা যাহা আনুমানিক ০.৭৭ শতক জমি চলাচলের জন্য ছেড়ে দেয়। উক্ত জায়গা আবুল কালাম স্থানীয় তুফাজ্জেল, কাজী তপন, কাজী বাবু সহ কতিপয় সুবিধাভোগী প্রকৃতির লোকদের সহযোগিতায় তার দখলীয় জমির বাইরে বসবাসরত জমি বাদে রাস্তার জমিতে ঘেরা বেড়া সহ বিভিন্ন গাছপালা লাগিয়ে দখল করার চেষ্টা করলে আমি তাকে মৌখিকভাবে বলি এবং রাস্তার জমিতে ঘেরা বেড়া দিতে নিষেধ করি। এতে তারা আমাকে কয়েকদিন যাবৎ হুমকি ধামকি দিতে থাকে। কিন্তু উক্ত আবুল কালাম তাহার কাজ অব্যাহত রাখে। এ বিষয় নিয়ে স্থানীয় মাজেদ, হামিদ, সুরেন সহ অন্যান্যদের উপস্থিতে আলাপ আলোচনা হয় যে তাতে তার কাগজপত্র দেখে আবুল কালাম তার দখলীয় জমি সঠিক আছে। এবং লাগানো কলাগাছ আমাকে কেটে দিতে বলে। তার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১১ জুন জুম্মার নামাজের আগে আমি চার পাচটি কলাগাছ কেটে দেয়। এবং পরে মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে আবুল কালাম সহ তার লোকজন আমার পথ রোধ করে এবং বলে কেন কলাগাছ কেটেছিস। আমি তাদেরকে প্রকৃত বিষয়টি বুঝাতে গেলে তারা সেটি না বুঝে ওরা আমাকে বলে তুই এই এলাকায় নতুন এসেছিস। তুই আমাদেরকে মানিস না ও আমাদের মতে চলিস না। তুই যদি এরকমভাবে চলিস তাহলে এখানে কিভাবে বসবাস করিস তা দেখে ছাড়ব। তারা আরও বলে তুই বাড়ি চলে যা আমরা আসছি। পরবর্তীতে আবুল কালাম তার লোকজন সহ ১৫/২০ জন আমার বাড়িতে হানা দেয়। তারা আমাকে হুমকি দিতে থাকে এবং আমাকে ঘর থেকে বের হতে বলে। আমি তাদেরকে ঘরে আসতে বলি এবং বিষয়টি আলোচনা করতে বলি। তখন তারা আমাকে হুমকি দিতে থাকে। তখন আমি আমার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার জন্য ঘর হতে বের হইনি। এ ব্যপারে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যদের আবুল কালাম সহ তার সন্ত্রাসী বাহিনীর হাত থেকে রেহাই পেতে প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।