এস এম পলাশ : সাতক্ষীরা শহরে করোনা ভাইরাসের সরকারী নিষেধাজ্ঞা থাকায় রাস্তা-ঘাট জনমানব শূন্য হয়ে পড়েছে। মানুষের জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেহ বাহির হচ্ছে না । কিছুক্ষণ পর পর পুুলিশ ও সেনাবাহিনীর টহল দিচ্ছে। পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রামমান আদালত চলমান রয়েছে। শহরে করোনা ভাইরাসের প্রতিরোধে জনগকে সতেচন করার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। সাতক্ষীরা শহরে লাবণীমোড় এলাকা জরুরী প্রয়োজনে ঔষধের দোকান খোলা আছে কিন্তু কাষ্টমার সীমিত। ঔষধ ব্যাবসায়ী কবির ফামের্সী মালিক মোঃ কবির হোসেন জানান , সারাদিন বেচাকেনা খুব কম আমার দোকানের সামনে ফিতা দিয়ে এরিয়া করে রেখেছি কাষ্টমার ভিতরে যাতে না এসে ওইখানে থেকে বললে আমি ডেলিভারি দিচ্ছি। সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘন্টায় বিদেশ ফেরত আরো নতুন ৩৩৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় আনা হয়েছে। এনিয়ে এ পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৯০০ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে। এদিকে, সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল আইসোলেশনে ভর্তি শ্যামনগরের দাতনিখালী গ্রামের এস.এম সুলতান মাহমুদ সুজন নামের যুবকের শরীরে কোন করোনা ভাইরাসের সংক্রমন না পাওয়ায় আইইডিসিআরের বরাত দিয়ে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন সাফায়েত জানান, তাকে বুধবার বিকালে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। শহরে নিত্যপণ্য দোকান যেমন গ্যাস সিলিণ্ডার দোকান, ফ্লেক্সিলোডের দোকান, ঔষধের দোকান জেলা প্রশাসনের নির্দেশে খোলা আছে। শহরের বাজারমোড়ে স্থানীয় বাসিন্দা গোলাম মোস্তফা সাতনদীকে জানান , বাসায় কোন বাজার নেই তাই বাজার করতে এসেছি। পলাপোলে বাসিন্দা বিন্দাবন জানান , নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে বাজারে এসেছি । এদিকে শহরের বড় বাজার যেয়ে দেখা যায় একই অবস্থা জনমানব শূন্য কথা হয় খুলনা রোড মোড় এলাকার বাসিন্দা মোঃ রুহুল কুদ্দুসের সাথে তিনি বলেন, বাড়িতে বাজার, মাছ ফুরিয়ে গেছে তাই কিনতে এসেছি। শহরে সঙ্গীতা মোড়ে অবস্থিত জিন্নাত ফামের্সীতে ঔষধ কিনতে এসেছে বাঁকালের বাসিন্দা পরিতোষ দাস তিনি বলেন , আমার স্ত্রীর খুব বুক ব্যাথা করছে তাই ঔষধ কিনতে এসেছি। শহরের বড় বাজারে অবস্থিত মাহফুজ সাকিব নামে এক কাষ্টমার বলেন , আমি কোন দোকান খুলা না পেয়ে এখানে চা কিনতে এসেছি। এদিকে ভ্যারাইটিস ষ্টোরের মালিক মাহফুজুর রহমান জানান , সারাদিন কোন বেচা-কেনা নেই লোক-জন বাহির হচ্ছে না । এদিকে, সাতক্ষীরা জেলা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রন কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল জানান, বিদেশ ফেরতদের ইতিমধ্যে হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় আনার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও স্বাস্থ্য বিভাগ। বিদেশ ফেরতদের বাড়িতে,বাড়িতে টানানো হচ্ছে লাল পতাকাসহ তাদের হাতে মারা হচ্ছে সনাক্তকরন সিল। এছাড়া বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে সকল পর্যটন কেন্দ্র ও গরু হাট। নিষিদ্ধ করা হয়েছে জেলায় সকল ধরনের সভা সমাবেশ, সেমিনার, সামাজিক অনুষ্ঠানসহ সকল প্রকার গণজমায়েত। এছাড়া করোনা সংক্রমন প্রতিরোধে জেলার সকল নাগরিককে আগামী ১৪ দিন বাড়ির বাহির না যাওয়ার জন্য আহবান জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক। এদিকে, সাতক্ষীরার ভোমরা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে গিয়ে আগে আটকে থাকা বাংলাদেশী পাসপোর্ট যাত্রীরা যারা ভারত রয়েছেন তারা দেশে ফিরতে পারলেও লক ডাউনের কারনে ভারতীয়রা তারা তাদের দেশে ফিরতে পারছেননা বলে জানিয়েছেন ইমিগ্রেশন ওসি বিশ্বজিত সরকার।