নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে সিন্ডিকেট করে পরস্পর যোগসাজশে দরপত্রে মালামালের উচ্চ মূল্য দেখিয়ে নিন্ম মানের মালামাল সবরবরাহ করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ক্রয় কমিটির সভাপতি ডাঃ রুহুল কুদ্দুসসহ ৯ চিকিৎককে তলব করেছে দুর্নীতিদমন কমিশন দুদক।
ইতোমধ্যে দুদকে হাজিরাও দিয়েছেন ওই চিকিৎসকরা।
গত ২৬ আগস্ট ২০১৯ তারিখে ০০.০১. ০০০০. ৫০১.১০১. ০৮৩.১৮. ৩২৮৮২ নং স্মারকে দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয় ঢাকার (বি:অনু: ও তদন্ত-১) উপপরিচালক মোঃ সামছুল আলম স্বাক্ষরিত এক পত্রে উক্ত ৯ চিকিৎসকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হয়ে বক্তব্য উপস্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হয়।
উক্ত পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে সম্প্রতি সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে বিভিন্ন সরঞ্জাম ক্রয়ের জন্য ডাঃ রুহুল কুদ্দুসকে সভাপতি করে ৯ সদস্যের একটি ক্রয় কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু ক্রয় কমিটি দরপত্রে মালামালের উচ্চ মূল্য দেখিয়ে নিুমানের মালামাল সরবরাহ পূর্বক কোটি কোটি টাকা আত্মসাথের অভিযোগে ওই কমিটির বিরুদ্ধে। এঘটনায় দুদক অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের স্ব স্ব বক্তব্য শ্রবনের জন্য দুদক কার্যালয়ে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। বাকী চিকিৎসকরা হলেন, মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক (শিশু) ডাঃ শামছুর রহমান, আর পি (মেডিসিন) ডাঃ মোঃ খায়রুল বাসার, জুনিয়র কনসালটেন্ট(অর্থো:সার্জারী) ডাঃ প্রবীর কুমার দাশ, সহকারী অধ্যাপক (ইএনটি) ডাঃ নারায়ন প্রসাদ স্যানাল, সহকারী প্রকৌশলী নিমিউ, ঢাকার এ এইচ এম আব্দুল কুদ্দুস, স্টোর কিপার আহসান হাবীব, সহযোগী অধ্যাপক মেডিসিন ডাঃ কাজী আরিফ আহমেদ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ শাহাজান আলী।
এদিকে ডা: রুহুল কুদ্দুস একাধারে ৫টি কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। একজন ব্যক্তি কিভাবে ৫টি দায়িত্ব পালন করতে পারেন তা নিয়ে সাতক্ষীরার সচেতন মহলে রয়েছে নানা জল্পনা কল্পনা। কমিটি গুলো হলো ক্রয় কমিটি, মূল্যায়ন কমিটি, উন্যমুক্তা কমিটি, সারভে কমিটি, বাজার দর বাচাই-বাছাই কমিটি। ফলে মালামাল যে মূল্যেই ক্রয় করা হোক না কেন জবাব দিহিতার কোন জায়গা থাকলো না। কারণে যে খানে জাবাব দিহি করতে হবে সেখানের সভাপতি ডাঃ রুহুল কুদ্দুস নিজেই।
এবিষয়ে কমিটির সভাপতি ডাঃ রুহুল কুদ্দুস বলেন, এধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন। ওই প্যাক্স মেশিনের দাম অনেক বেশি। আমরা একটু কম মূল্যের ক্রয় করেছি। জাপানের প্রকৌশলীরা ইতোমধ্যে সেটি স্থাপনের কাজ শুরু করে দিয়েছে।
অন্যদিকে মেডিকেল কলেজের সরঞ্জাম ক্রয়ের ঘটনায় দুর্নীতির ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বেতনা বাঁচাও আন্দোলন কমিটি সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। তারা দ্রুত এঘটনার সাথে জড়িতদের বিচার দাবি করেছেন। প্রয়োজন তারা দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের বিচারের কাঠ গড়ায় দাঁড় করানো ঘোষণা দেন।