
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরায়- ভিশন মালটিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের নামে গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগি গ্রাহকরা দিনের দিন হেটে তাদের কষ্ঠে উপার্জিত টাকা না পেয়ে হয়রান হয়ে গেছে। গ্রাহকরা প্রতিষ্ঠানটির নামে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েও কোন গুরুত্ব দিচ্ছে না উল্টে তাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
সাতক্ষীরা পুরাতন সাতক্ষীরার তিন নং ওয়ার্ডের মৃত কেরামত আলীর ছেলে জবেদ আলী গাজী জানান, ভিশন মালটিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডে তিনি মাসিক ১০ হাজার টাকা মুনাফায় ১৩/১০/২০১৪ সালে ৭৯৬ নং রশিদে সাত লক্ষ টাকা ফিক্সিড ডিপোজিট করেন। প্রথম কয়েক মাস টাকা দিলেও পরবতীতে তারা আর টাকা দেয়নি। টালবাহনা করতে থাকে। তিনি আরও জানান আমি এখন মৃত পথযাত্রী আমার বহু কষ্টে উপার্জিত টাকা আমি উক্ত প্রতিষ্ঠানে রেখেছিলাম। আমি চিকিৎসা করাতে পারছি না। আমি ফারুখ সাহেবের কাছে বহুবার হেটেছি আমার টাকাটা দেওয়ার জন্য কিন্তু তিনি দেননি উল্টো আমাকে হুমকি ধামকি দিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে। আমি এখন নিরুপায় জীবনের শেষ বেলায় এসে এমন কষ্টে মরতে হবে আমি তা ভাবেনি। আমার মত কষ্ট যেন কেউ না পায়। ফারুক সাহেব ১৫০ টাকার স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করেছেন টাকা দেবেন বলে কিন্তু তিনি টাকা দেননি। আমি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি যাতে আমার কষ্টে উপাজিত টাকা ফেরত পেতে পারি।
জবেদ আলীর এ্যাডভোকেট খোদা বকস জানান সাতক্ষীরা ভিশন মাল্টিপারপাস সোসাইট লিমিটেডের চেয়ারম্যান কাজী ফারুক হোসেনের কাছে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। তিনি তার জবাবে ১৭/০৯/২০১৯ তারিখে এক জায়গায় বসে সমস্যার সমাধন করবেন বলে জানান। কিক্ত তিনি না বসে উল্টো আমার মক্কেলকে হুমকি দিয়েছেন।
সাতক্ষীরা ভিশন মালটিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের চেয়ারম্যান কাজী ফারুক হোসেন জানান, উক্ত প্রতিষ্ঠানে আমি এখন চেয়ারম্যান নই। গত ৭/২/২০১৬ তারিখ থেকে উক্ত প্রতিষ্ঠানটি জেলা সমবায়ের আওতাধীন চলে গেছে। সেখান থেকে তারা গ্রাহকের টাকা উত্তোলন করে গ্রাহকের দেয়। আমার কোন দায়িত্ব নেই। আমার সময় জবেদ আলী গাজী সাতলক্ষ টাকা ফিক্সিড ডিপোজিট করেছিল। আমি যতদুর জানি তিনি তার ছেলের নামে উক্ত টাকাটা হস্তান্তর করেছেন। জবেদ আলী চাচা অসুস্থ হয়ে গেলে আমি সমবায় অফিসকে অনুরোধ করেছি যাতে তার টাকাটা দ্রুত পেতে পারেন। এর বেশি আমার কিছু করার নেই বলে তিনি জানান।