
এস কে.ফেরদৌস আহমেদ : পৃথিবীর সকল জ্ঞান বইয়ের পাতায় ঘুমিয়ে থাকে। কোনো পাঠক বা ব্যক্তি যখন বইয়ের পাতা খোলে তখন ঘুমন্ত সেই জ্ঞান জেগে ওঠে, কথা বলতে শুরু করে পাঠকের সাথে। জ্ঞানের আলো তখন পাঠককে আলোকিত করে, পাঠকের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে জ্ঞানের আলো। জ্ঞানিরা বলেন,বই শান্তির প্রতীক,বই আনন্দের প্রতীক, মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে বইয়ের বিকল্প নাই। একটি বই একটি ভালো বন্ধুর সমান, বই মানুষকে আলোর পথে নিয়ে যায় আলোকিত করে পাঠককে,আলোকিত করে জাতিকে,আলোকিত করে সমাজকে ।
বর্তমান তথ্য প্রযুক্তি অনেক এগিয়ে,মানুষের হাতে থাকা ফোন দিয়ে প্রয়োজনিয় তথ্য জানতে পারলেও তা কতো টা সত্য তা নিয়ে স্মংস্বয় মানুষের মনে ? মানুষ সত্য বাক্য খোঁজে সত্যটাকে জানতে চাই তাই শুদ্ধ বাক্য ও সত্যটাকে জানতে বইয়ের বিকল্প কিছু নাই। বর্তমান সময়ে বইয়ের প্রতি মানুষের আগ্রহ কতটা দেখতে ও জানতে গিয়ে ছিলাম সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে বই মেলায়,যেখানে ৬১টি বইয়ের স্ট্রল বসেছে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায়।বইয়ের স্ট্রল গুলোর ভিতরে মানুষকে বেশি আকর্ষিত করেছে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ লাইন্সের পুলিশ নারী কল্যান সমিতি (পুনাক) এর উদ্দোগে দেওয়া বইয়ের স্ট্রল যেখানে, হরেক রকমের বই নিয়ে স্ট্রল দিয়েছে এবং জনসচেতনা মূলক তথ্য দিচ্ছে প্রশাসনিক এই কর্মকর্তারা।
বই মেলায় আসা দর্শনার্থীদের খুব বেশি ভীড় চোখে নাপড়লেও অনেককে বই কিনতে দেখা যায় এবং সকল দর্শনার্থীরা যে বই কিনছে এমনও নয়। বই মেলায় ক্রয় বিক্রয় ও দর্শনার্থী সম্পর্কে জানতে চাইলে ৫৯ নং স্ট্রলের ঢাকা থেকে আসা বই বিক্রেতা মেহেদী হাসান দৈনিক সাতনদীকে জানান,প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই হাজার টাকার মতো বই বিক্রয় করি, কোন কোন দিন কম বিক্রয় হয় আবার কখনো বা বেশি। অনেক ক্রেতা আসে কিন্তু অল্প কয়েক জন বই কিনে নিয়ে যায়। বই মেলায় বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ আসছে তার পছন্দের লেখকের বই নিতে।
কালিগঞ্জ থেকে আসা দর্শনার্থী ফারহানা সুলতানা তাসনিম বলেন,আমার বইয়ের প্রতি অনেক বেশি আগ্রহ আমি দুইটি বই নিয়েছি যা আমার অবসর সময়ে পড়ব বই পড়তে আমার অনেক ভালো লাগে, অজানা সম্পর্কে আমার জানতে অনেক ইচ্ছে হয় যা আমি বই থেকে জানতে পারি তার ভিতরে খুঁজে পাই, বই আমার অনেক প্রিয়। বই তো জ্ঞানের আধার,সত্যের প্রতীক মানব জীবন আলোকৃত করে এই বই,আর তাই এই বই নিয়েই প্রতি বছরই সাতক্ষীরাতে হয় বই মেলা নামক জ্ঞানের মেলা।