
সরেজমিন থেকে ফিরে নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সাতক্ষীরার শহরতলীয় এল্লারচর এলাকায় ফিংড়ী রাস্তার দুই পাশের গাছ কেটে হরিলুটের মহাউৎসব শুরু হয়েছে। ঘুর্ণিঝড় বুলবুলির তান্ডবে হেলে পড়া গাছের সাথে ভাল গাছও কেটে নিয়ে যাচ্ছে জেলা পরিষদের সদস্য মিলির আস্থাভাজন কাঠ ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম। অথচ পড়ে যাওয়া গাছ গুলো সংরক্ষণের নামে বিক্রয় করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। যে কারনে জেলা পরিষদ হারাচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।
গত বুধবার বেলা ১২ টার দিকে সরজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, এল্লারচর এলাকার ফিংড়ি রোডে ধুলিহর এলাকায় কাঠ ব্যবসায়ী সালামের শ্রমিকরা বাবলা গাছ ও কয়েকটি আকাশমনি গাছ কেটে গুড়িগুলো তিনটি ইঞ্জিন ভ্যানে বোঝাই করছে। যার আনুমানিক মূল্য এক লক্ষাধিক টাকার উপর। বিষয়টি তাদের কাছে
কার কাঠ জানতে চাইলে শ্রমিক আজগার আলী, জিয়ারুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে জানান আমরা সালাম ব্যাপারীর লোক। কাঠ কোথায় যাবে জানতে চাইলে শ্রমিকরা জানান, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদে নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু সংবাদ কর্মীদের কাছে খবর ছিল সালাম ব্যাপারী ধুলিহর এলাকায় নিয়ে যাবে। তাই তারা গা ঢাকা দিয়ে আশ-পাশে অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পরে দেখা গেলো ভ্যান ভর্তি কাঠ নিয়ে ঠিকই শ্রমিকরা জেলা পরষদের পরিবর্তে উল্টো পথে ধুলিহরের রামচন্দ্রপুর এলাকায় একটি পরিত্যক্ত জায়গায় নামিয়ে রাখছে।
ঘটনা স্থলে গিয়ে সংবাদ কর্মীরা শ্রমিকর আজগর আলীর কাছে কাঠগুলো জেলা পরিষদে না নিয়ে এখানে নামাচ্ছেন।? জবাবে আজগরসহ অন্যরা জানান সালামের নির্দেশে কাঠ নামাচ্ছি। এদিকে সাংবাদ কর্মীরা সালাম ব্যাপারীর সাথে ফোনে কথা হলে জানান, মিলি আপার কাছে ফোন দেন। দুপুর ২ টার দিকে গাছের গুড়ি জেলা পরিষদে না নিয়ে রামচন্দ্রপুর এলাকায় কেন জানতে চাইলে সালাম ব্যাপারী বলেন, জেলা পরিষদের লোকজন দাওয়াত খেতে গিয়েছে তাই কাঠ নিয়ে যায়নি।
এ বিষয় জেলা পরিষদ সদস্য এড. শাহনাজ পারভীন মিলির কাছে কাঠ জেলা পরিষদে না নিয়ে উল্টো পথে ধুলিহর এলাকায় রাখার কারন জানতে চাইলে জবাবে তিনি জানান,যেখানে কাঠ যাক জেলা পরিষদে চলে আসবে। আমাদের নলেজে আছে,উরা আমাদের লোক। একাধিক এলাকা থেকে জেলা পরিষদের গাছ সালাম ব্যাপারী কেটে বিক্রয় করার অভিযোগ উঠেছে। যা বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তার পরেও সালাম ব্যাপারীর লাগাম যেন কেউ আটকাতে পারছে না।তার খুটির জোর কোথায় জানতে এলাকার সচেতন মানুষ।
কাঠ ব্যবসায়ী আব্দুস সালামের বাড়ি সাতক্ষীরা সদর সদর উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়নের সানাপাড়া গ্রামে বলে জানা গেছে।
ঘুর্ণিঝড় বুলবুলির দোহাই দিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ গাছের অন্তরালে ভাল ভাল গাছ জেলা পরিষদের কতিপয় লোকদের ম্যানেজ করে কাঠ ব্যবসায়ী সালাম সহ কয়েকজন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ৫০ লাখ টাকার গাছ কেটে নিয়েছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে জানা গেছে।