নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলামের ৭১তম জন্মদিন আজ। ১৯৫৩ সালের ১৭ নভেম্বর তিনি সদর উপজেলার ফিংড়ী ইউনিয়নের উত্তর ফিংড়ী গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তাঁর পিতা আব্দুল জব্বার ও মাতা রিজিয়া সুলতানা। তাঁর শৈশব কেটেছে মরিচ্চাপ নদীর পাড়ে ছায়া সু-নিবিড় শান্তির নীড় উত্তর ফিংড়ী গ্রামে। প্রাথমিক শিক্ষা জীবন শুরু হয় শিক্ষাকতার পাশাপাশি একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে তার সুনাম ছড়িয়ে পড়ে জেলাসহ দেশের বাইরে। সাতক্ষীরা কলেজে অধ্যয়নকালে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িত ছিলেন। তিনি সাতক্ষীরা কলেজের ছাত্র সংসদের কমনরুম বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। শৈশব থেকে তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক। মুজিব আদর্শকে বুকে ধারণ করে তিনি ব্যবসার পাশাপাশি জনসেবায় আত্ম নিয়োগ করেন। ১৯৯২ সালে তিনি ফিংড়ী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ছাতা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। অবহেলিত ফিংড়ী ইউনিয়নকে গড়ে তোলেন তিলোত্তমা রূপে। ২০০৯ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে দ্বিগুন ভোটের ব্যবধানে জামায়াতের প্রার্থীকে পরাজিত করেন তিনি। সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হবার পর তিনি স্বচ্ছতা ও সততার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। সে কারণে তাকে সততার প্রতিক বলা হয়। অবহেলিত সাতক্ষীরা সদর উপজেলার প্রত্যেকটি জনপদকে গড়ে তোলেন উন্নয়নের মডেল হিসেবে। দুর্নীতিমুক্ত সদর উপজেলা পরিষদ গড়ে তুলে তিনি জন নন্দিত হয়েছেন। ২০০৪ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৪ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন কালে সাতক্ষীরা জেলা আ.লীগকে শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত করেন। যে কারণে ২০১৫ সালের ৭ ফেব্রæয়ারী তিনি পুনরায় জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রæয়ারী জামায়াত বিরোধী মুভমেন্ট তার ভ‚মিকা দলকে করেছে সুসংগঠিত। ১৯৯৫ সালে ফিংড়ী ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন কালে তিনি সততার প্রতিক হিসেবে শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান নির্বাচিত। পরবর্তীতে মহামান্য রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের হাত থেকে গ্রহন করেন রাষ্ট্রপতি পদক। এছাড়া তিনি কাজী নজরুল স্বর্ণ পদক’ কবি জসিম উদ্দীন পদক’ মাদার তেঁরেসা পদকসহ অসংখ্য পদক ও পুরস্কার পেয়েছেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জনক। তার সহধর্মিনী মিসেস সালেহা ইসলাম শান্তি অবসরপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মী, বর্তমানে গৃহিনী। বড় মেয়ে নূর জাহান জেসমিন বিবাহিত। বড় জামাতা ঢাকার সিএমএম আদালতের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মরত। ছোট মেয়ে আইরিন পারভীন অনার্স-মাস্টার্স শেষ করে খুলনা রোটারী হাইস্কুলে শিক্ষকতা করে। ছোট জামাতা-কেডিএ’র সিনিয়র নির্বাহী প্রকৌশলী। একমাত্র ছেলে রাজু আহম্মেদ ডাক্তারী পাশ করে বর্তমানে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে সরকারি চাকরিরত। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে একজন কর্মী হিসেবে তিনি বেকারমুক্ত, ক্ষুধামুক্ত, মাদকমুক্ত, আধুনিক উন্নত সাতক্ষীরা গড়তে বদ্ধপরিকর। তার ৭১তম জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জেলার রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, সাংবাদিক, কবি, সাহিত্যিকসহ সর্বস্তরের মানুষ। এদিকে তার ৭১তম জন্মদিনে এন আই ইসলামীয়া লাইব্রেরী ও এন আই যুব ফাউন্ডেশনের সহযোগীতায় ও ফিংড়ী ইউনিয়ন যুবলীগের আয়োজনে ফিংড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে কেক কেটে জন্মবার্ষিকী পালন করা হবে।