আহাদুর রহমান:
সাতক্ষীরা জেলা জুড়ে নারায়নগঞ্জ আতঙ্ক চলছে। প্রশাসনের দায়িত্বলীল ব্যাক্তি ও সংবাদপত্র অফিসে বিরতীহীনভাবে শত শত ফোন আসছে নারায়নগঞ্জ ফেরৎ ব্যাক্তিদের তথ্য দেয়ার জন্য।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, কয়েক হাজার শ্রমিক নারায়নগঞ্জ থেকে নিজ বাসায় ফিরেছে গত এক সপ্তাহে। আগতরা সকলেই নারায়নগঞ্জের বিভিন্ন কল-কারখানায় কর্মরত ছিল। ইটালী ফেরৎ ব্যাক্তির মাধ্যমে নারায়নগঞ্জে করোনা ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার পর মেয়র আইভি রহমান প্রধানমন্ত্রীর কাছে লিখিত আবেদন করেন নারায়নগঞ্জকে লকডাউন করার। পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করার পর লকডাউন করা হয় নারায়নগঞ্জকে। কিন্তু ততোক্ষণে মানুষর মধ্যে করোনা ছড়িয়ে পড়ে। সেই নারায়নগঞ্জ থেকে ফিরে আসা অসংখ্য শ্রমিক এখন সাতক্ষীরার প্রায় সব উপজেলার গ্রামগঞ্জে ফিরে এসেছে। ফলে ওই সব গ্রামের মানুষজন আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। তারা স্থানীয় চেয়ারম্যান, থানার ওসি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, এমনকি সংবাদপত্র অফিসগুলোতে ফোন করে নারায়নগঞ্জ থেকে আগতদের তথ্য দিচ্ছেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি এ বিষয়ে সাতনদীকে জানান, অনবরত ফোন আসছে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে। তারা বলছে নারায়নগঞ্জ থেকে তাদের এলাকায় লোক এসেছে। তিনি আরও বলেন, আগতরা সবাই সাতক্ষীরার মানুষ। তাদেরকে বাধা দেয়া যাবেনা। তবে তাদেরকে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ঢাকা জেলার পর সবচাইতে বেশি করোনা আক্রান্ত ব্যাক্তি নারায়নগঞ্জে। নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি), সিভিল সার্জন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। জেলায় করোনা আক্রান্ত এক চিকিৎসকের সংস্পর্শে আসায় আইইডিসিআর-এর পরামর্শে তারা হোমকোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। তাদের সবার নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে। তবে করোনার নমুনা পরীক্ষার পর জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিনের রেজাল্ট নেগেটিভ এসেছে। অন্যদের ফলাফল পাওয়া যায়নি।