
জামায়াতে ইসলামী দেশকে একটি জনকল্যাণমুখী স্বনির্ভর আদর্শ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে চায়ঃ মুহাঃ আব্দুল খালেক
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাংগঠনিক সেক্রেটারী ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক বলেছেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সমাজ ও রাষ্ট্রের সকল স্তরে সৎ ও যোগ্য লোকের শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশকে একটি জনকল্যাণমুখী স্বনির্ভর আদর্শ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে চায়। সমাজের প্রতিটি স্তরে ইসলামের শিক্ষা ও সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি সুসংগঠিত সমাজ গড়ে চায়। তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় এলে দেশের মানুষ নতুন নেতৃত্ব পাবে। আমরা নিশ্চিত করছি, আল্লাহ যদি জামায়াতে ইসলামীকে ক্ষমতায় নেন তাহলে দেশের সকল মানুষের মর্যাদা আরও বৃদ্ধি পাবে। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে সুস্থ ধারার রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত হয়নি বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, জামায়াত ক্ষমতায় গেলে একটি ইনছাপ পূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠা করবে। শুক্রবার (১৩ জুন) সকাল ৮টায় সাতক্ষীরা আল আমিন ট্রাষ্টের কাজী শামসুর রহমান মিলনায়তনে রুকন প্রার্থী শিক্ষা শিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাতক্ষীরা জামায়াতের নায়েবে আমীর ডা. মাহমুদুল হকের সভাপতিত্বে ও অফিস সেক্রেটারী রুহুল আমিনের সঞ্চালনায় শিক্ষা শিবিরে দারসুল কুরআন পেশ করেন জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী মাওলানা ওসমান গণি। জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী অধ্যাপক মুহাম্মদ ওবায়দুল্লার উদ্বাধেনী বক্তব্যের মধ্যদিয়ে শুরু হওয়া দিনব্যাপি অনুষ্ঠিত শিক্ষা শিবিরে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য ও খুলনা অঞ্চল টিম সদস্য মুহাদ্দিস রবিউর বাশার, কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য ও সাতক্ষীরা জামায়াতের আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল,জেলা সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমান। কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে জেলা কর্মপরিষদ সদস্য এড. আব্দুস সুবহান মুকুল, কর্মপরিষদ সদস্য আসাদুজ্জামান, অধ্যাপক আব্দুল ওয়ারেশ উপস্থিতি ছিলেন।
উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল বলেন , আমাদের আদর্শ একমাত্র ইসলাম। সাধারণ মানুষের মধ্যে ইসলামী আন্দোলনের বার্তা পৌঁছে দেওয়া এবং তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়া জামায়াতে ইসলামীর প্রধান লক্ষ্য।
শিক্ষাশিবিরে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা আজিজুর রহমান বলেন,শুধুমাত্র ব্যক্তিগত ইবাদত দিয়ে আল্লাহর হক আদায় হবে না। খেলাফতের দায়িত্ব পালন অনেক কঠিন। নামাজ, রোজা, যাকাত আদায়ের মাধ্যমে খেলাফত প্রতিষ্ঠার প্রস্তুতি নিতে হবে। হয় গাজী না হয় শহিদ, এই ধরনের যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।