সিরাজুল ইসলাম: জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলায় সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সাতক্ষীরায় অনুষ্ঠিত হয়েছে “জলবায়ু অভিযোজন ও টেকসই জীবিকায়ন” বিষয়ক এক কর্মশালা। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ কর্মশালায় বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তা, উন্নয়নকর্মী, বিশেষজ্ঞ ও স্থানীয় প্রতিনিধি ব্যক্তিরা অংশ নেন।
জার্মানভিত্তিক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা বিএমজেড ও ওয়েলহাঙ্গারহিলফি (ডব্লিউএইচএইচ)-এর অর্থায়নে এবং ক্রিয়েটিভ পাথওয়েজ ও আনন্দ এনজিও’র আয়োজনে কর্মশালায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, অভিযোজন কৌশল ও টেকসই জীবিকায়নের উপায় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়।
কর্মশালার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মাশরুবা ফেরদৌস। তিনি বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলায় আমাদের প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদি অভিযোজন পরিকল্পনা, পরিবেশবান্ধব জীবিকার বাস্তবায়ন এবং স্থানীয় জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ।”
আনন্দ এনজিও’র প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. আমিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিষ্ণুপদ পাল, ডব্লিউএইচএইচ -এর হেড অব প্রজেক্ট মো. জিয়াউল হক, মিল কো-অর্ডিনেটর মো. আলমগীর আহমেদ, কনসালট্যান্ট মোহন কুমার দাস, এবং সাতক্ষীরা পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. লিয়াকত আলী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলসমূহের মধ্যে সাতক্ষীরা অন্যতম জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। নদীভাঙন, লবণাক্ততা, ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের মতো দুর্যোগ এখানে মানুষের জীবন ও জীবিকাকে বারবার ক্ষতিগ্রস্ত করছে। তাই টেকসই জীবনব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হলে প্রয়োজন স্থানীয় বাস্তবতা ভিত্তিক অভিযোজন পরিকল্পনা, কৃষির আধুনিকায়ন, বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং সচেতনতা বৃদ্ধি।
কর্মশালায় নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন, কৃষি উন্নয়ন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও কর্মসংস্থানসহ জলবায়ু-সহনশীল জীবিকার বিভিন্ন দিক নিয়েও আলোচনা হয়।
অনুষ্ঠান শেষে অংশগ্রহণকারীরা জলবায়ু অভিযোজন প্রক্রিয়ায় সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সংহতির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।