
মোমিনুর রহমান, দেবহাটা: সাতক্ষীরা-কালীগঞ্জ মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে সৃষ্ট বড় বড় গর্তের কারনে রাস্তাটি বর্তমানে মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। এতে করে একদিকে ধুলাবালি ও জনদূর্ভোগে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে সাধারন মানুষ। আর অন্যদিকে শৈত প্রবাহ ও ঘন কুয়াশায় প্রতিনিয়তই এসব গর্তের কারনে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে মানুষকে। এমনকি মহাসড়কটির বেহাল দশার কারনে দক্ষিনাঞ্চল শ্যামনগর, কালীগঞ্জ ও দেবহাটা উপজেলার বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকা থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আশঙ্কাজনক অবস্থায় রোগীদের জেলার সদর হাসপাতাল সহ অন্যান্য হাসপাতালে নিতেও অনেকটা সময়ক্ষেপন ও বেগ পেতে হচ্ছে এ্যম্বুলেন্স ও রোগীর স্বজনদের। দীর্ঘদিন ধরে জেলার সাথে দক্ষিনাঞ্চলের মানুষের যোগাযোগের একমাত্র ব্যস্ততম সড়কটির আলীপুর পরবর্তী পুষ্পকাটি থেকে শুরু করে বহেরা, কুলিয়া, সেকেন্দ্রা, চারাবটতলা, পারুলিয়া, সখিপুর, চাঁদপুর, গাজীরহাট, আষ্কারপুর, নলতা হয়ে কালীগঞ্জ পর্যন্ত মহাসড়কটিতে চলাচলে সাধারন মানুষ তীব্র ভোগান্তির শিকার হলেও, সড়কটি সংষ্কারে যেন বিন্দুমাত্র মাথাব্যাথা নেই সাতক্ষীরার সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের কর্মকর্তাদের। ভুক্তভোগীরা বলছেন, মহাসড়কটির রক্ষনাবেক্ষন ও সংষ্কারের যাবতীয় দায়িত্ব সড়ক ও জনপথ বিভাগের থাকা স্বত্ত্বেও ব্যস্ততম মহাসড়কটি সংষ্কারে পদক্ষেপ না নিয়ে প্রতিনিয়ত জনসাধারনকে ভোগান্তির যাতাকলে পিষ্ট করে চলেছেন সংশ্লিষ্টরা। মাঝে মধ্যে সড়কের দু’একটি জায়গায় নামমাত্র সড়ক ও জনপথ বিভাগকে জোড়াতালি দিতে দেখা গেলেও, নিন্মমানের কার্পেটিং সরঞ্জাম ব্যবহার করায় জোড়াতালি দেয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই সেগুলো আবারো বড় বড় গর্তে পরিনত হয়েছে। জেলা প্রশাসন ঘোষিত ক্লিন সাতক্ষীরা, গ্রীন সাতক্ষীরা বাস্তবায়নে শুরুতেই জনদুর্ভোগ লাঘবে ব্যস্ততম এ মহাসড়কটি স্থায়ী ও যুগোপযোগী ভাবে সংষ্কারের বিকল্প নেই বলে অভিমত বিভিন্ন সামাজিক ও উন্নয়ন সংগঠনের পাশাপাশি সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের। তাই অবিলম্বে সাতক্ষীরা-কালীগঞ্জ মহাসড়কটি সংষ্কারের উদ্যোগ নিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল সহ সংশ্লিষ্টদের কাছে দাবী জানিয়েছেন ভোগান্তির যাতাকলে পিষ্ট জেলার সকল শ্রেনী পেশার মানুষ।