
মোঃ মোকাররাম বিল্লাহ ইমন : সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের পঞ্চবার্ষিক ও বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনা কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গোফরইমপ্যাক্ট কর্মসূচির আওতায় সুইজারল্যান্ড, ওয়াটারএইড বাংলাদেশ-সুইসকন্টাক্ট বাংলাদেশ কনসোর্টিয়ামের যৌথ সহযোগীতায় সোমবার সকালে শহরের কামালনগর লেক ভিউ রিসোর্টে রুপান্তর ও আশাশুনি উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মাসরুবা ফেরদৌস। ইউনিয়ন পরিষদ পঞ্চবার্ষিক ও বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরি করতে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন বাংলাদেশ সরকারে সাবেক অতিরিক্ত সচিব এম শফিকুল ইসলাম।
আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায়ের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন, ওয়াটারএইড বাংলাদেশের পলিসি এন্ড গভর্ন্যান্স স্পেশালিষ্ট রঞ্জন কুমার ঘোষ,ওয়াটারএইড বাংলাদেশের স্টেকহোল্ডার এনগেজমেন্ট এক্সপার্ট সাঈদ মাহাদী,রুপান্তরের প্রকল্প ব্যবস্থাপক সৈয়দ আসাদুল হক সহ আরো অনেকে।
এসময় প্রধান অতিথি স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মাসরুবা ফেরদৌস বক্তব্য বলেন, গোফরইমপ্যাক্ট কর্মসূচিকে তৃণমূল পর্যায়ের উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নে সহযোগিতা করছে। আজকের এই কর্মশাল ইউনিয়নের আগামী পাঁচ বছরের (২০২৫-২০৩০) উন্নয়ন কার্যক্রম নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো উন্নয়ন টেকসই হয় না। আলোচনায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দের মতামত ও পরামর্শ জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো, কৃষি ও কর্মসংস্থান সব ক্ষেত্রে সমন্বিত উন্নয়ন হোক। গোফরইমপ্যাক্ট কর্মসূচির মাধ্যমে জনগণকেন্দ্রিক উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেবে।
তিনি আরো বলেন,কেবল রাস্তা-ঘাট নয়, বরং মানুষের জীবনমান উন্নয়ন। ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামে যেন সমানভাবে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগে, সেটাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। আগামী ডিসেম্বর ২০২৫ এর মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদকে উন্নয়ন পরিকল্পনা চূড়ান্ত ও অনুমোদন করে তাদের ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে। জনগণের চাহিদা ও অগ্রাধিকারকে গুরুত্ব দিয়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নই উন্নয়ন কর্মকান্ড সফল করবে। সবাইকে এই উন্নয়ন কার্যক্রমে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের কাছে। একসাথে কাজ করলেই আমরা একটি আধুনিক, উন্নত ও সমৃদ্ধ ইউনিয়ন গড়ে তুলতে পারবো।