
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরায় পুত্রবধুকে মৃত্যু স্বামীর সম্পত্তির ভাগ না দেওয়ার উদ্দেশ্যে শ^শুর কর্তৃক মিথ্যা বানোয়াট তথ্য পরিবেশনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৪ মার্চ) সন্ধায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব অভিযোগ করেন দেবহাটার চাঁদপুর গ্রামের শেখ রেজাউল ইসলামের কন্যা ফারিহা আফরিন রিপা।
তিনি বলেন, আমার স্বামী সাইফুল ইসলামের ঔরসে আমার গর্ভে ২পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। ২০২০ সালে কুয়েতে থাকা অবস্থায় আমার স্বামী মারা যান। স্বামী মারা যাওয়ার খবর পেয়ে পরসম্পদ লোভী দেবর মহাসিন কবির, বাহারুল, বদরুল ও শ^শুর মোশাররফ আমার দুই পুত্র সন্তানসহ বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। এছাড়া স্বামীর নামীয় মার্কেটের ভাড়া উত্তোলন করে নিজেরা আত্মসাথ করে যাচ্ছে। গত ২১.০৩.২০২১ তারিখে ভোমরায় আমার স্বামীর নামীয় মার্কেটের ভাড়াটিয়াদের নিকট থেকে ভাড়া নিতে গেলেও আমার চুলের মুঠি ধরে বেধড়ক মারপিট করে, আমার বৃদ্ধা পিতাকেও মারপিট করে। এছাড়া আমার ছোটপুত্রে কে ছুড়ে ফেলে দেয় ওই সম্পদ লোভীরা। এঘটনার ভিডিও ফুটেজ আমাদের কাছে রয়েছে। অথচ আমার সম্পদলোভী শ^শুর ও দেবররা তাদের অপর্কম ঢাকতে ২৩ মার্চ সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে আমাকে এবং আমার পিতাকে জড়িয়ে জঘন্য মিথ্যা, ভিত্তিহীন বানোয়াট বক্তব্য দিয়েছেন। আমার বিবাহের পর স্বামীর বাড়িতেই থেকেছি। কিন্তু স্বামী বিদেশ চলে যাওয়ার পর শ^শুর বাড়ির লোকজন জোরকরে আমাকে পিতার বাড়িতে পাঠিয়ে দিত। সংবাদ সম্মেলনে আমার শ^শুর নিজেকে মসজিদের ইমাম দাবি করে নিজেকে ধোয়া তুলশীপাতা হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। অথচ আমার শ^শুর মোশাররফ হোসেন এতটাই ভালো যে তার পিতা তাকে ত্যাজ্যপুত্র ঘোষণা করেছিলেন। বিদেশ থেকে আমার স্বামীর পাঠানো অর্থ দিয়ে তারা চলত। অন্যন্য পুত্ররা সকলেই আমার স্বামীর অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার চেস্টায় লিপ্ত ছিলো এখনো রয়েছে। আমার দেবর মহসীন একাদিক চেক জালিয়াতি মামলার আসামী। প্রায় ১বছর পূর্বে মহসীন স্বর্ণ ও হুন্ডি চোরাচালানী ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার ঘটনায় পত্রপত্রিকায় একাধিক সংবাদ পরিবেশিত হয়। আমার শ^শুর ও দেবররা স্বামীর সম্পত্তি ভাগ না দিয়ে আমাকে তাড়িয়ে দেওয়া এবং মারপিট করার বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে আমার পিতাকে মাদকাসক্ত হিসেবে উল্লেখ করে চরম মিথ্যাচার ও জঘণ্যতার পরিচয় দিয়েছেন। এছাড়া কুয়েত থেকে ২০লক্ষ টাকা এবং প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ৩ লক্ষ টাকা আসার বিষয়টি সম্পূর্ন মিথ্যা। আমরা শুনে টাকা আসতে পারে। এসব টাকার লোভ সামলাতে না পেয়ে শ^শুর এবং দেবররা এধরনের চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। আমার পিতা কখনোই কোন নেশার সাথে সম্পৃক্ত ছিলো না। বর্তমানেও নেই। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমার স্বামীর মৃত্যুর পর ন্যায্য অধিকার আদায় করতে প্রায় ১০মাস যাবতর দেবর ও শ^শুরদের দ্বারা হয়রানির শিকার হচ্ছি। তিনি ওই সম্পদলোভী শ^শুর ও দেবর গংয়ের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ আমার ন্যায্য অধিকারের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।