
আকরামুল ইসলাম:
করোনা আতঙ্কে স্তব্ধ হয়ে পড়েছে গোটা বিশ^। বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা দেশে। এই আতঙ্কের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশেও মারা যাওয়ার খবর রয়েছে। তবে বৈশি^ক বিপর্যয়ের এ মুহূর্তে আতঙ্কিত হয়েও মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
সাতক্ষীরা সদর হাসাপাতালের মেডিকেল অফিসার অসীম কুমার সরকার। সদর হাসপাতালে শিশু বিশেষজ্ঞ না থাকায় তিনি শিশু ওয়ার্ডের বাড়তি দায়িত্ব পালন করছেন। আতঙ্কের মাঝেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন এই চিকিৎসক। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেবা দেওয়ার নতুন অভিজ্ঞতার কথাও জানিয়েছেন।
সাতক্ষীরা সদর হাসাপাতালের মেডিকেল অফিসার অসীম কুমার সরকার বলেন, একটা মাক্স ও একটা একটা গ্লাবস আমি নিজের টাকায় কিনেছি। অথরিটি বলছে, সব ধরণের প্রস্তুতি রয়েছে। কিন্তু বাস্তবিক অর্থে কোন প্রস্তুতিই ছিল না। ডাক্তারগণ মৃত্যু ঝুঁকি নিয়েই রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। আমাদেরও পরিবার রয়েছে। আমাদের কিছু হলে তাদের কি হবে ? সে চিন্তা মনে থাকলেও সেবা দিতে অনাগ্রহ দেখানটি কোন চিকিৎসক।
তিনি বলেন, চিকিৎসক, নার্সদের নিরাপত্তার জন্য কোন ব্যবস্থাই এখনো হয়নি। নিরাপত্তাহীন অবস্থাতেই রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি আমরা। সদর হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে একজন করোনা সন্দেহজনক রোগী ভর্তি রয়েছেন। এখনো তার কোন পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি। আইইডিসিআরকে বলা হলেও তাদের কোন রেসপন্স নেই। একজন ডাক্তারের উপর ভরসা করেই অসুস্থ মানুষটি হাসপাতালে আসেন। আতঙ্ক, উদ্বেগ থাকলেও রোগীদের জীবন বাঁচানো, সুস্থ করাই আমাদের লক্ষ্য।
কেউ নিরাপদ নন জানিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, সাতক্ষীরা জেলায় করোনা ভাইরাস পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় শুধুমাত্র অনুমানের উপর ভিত্তি করেই আমরা চলছি। সেজন্য নিজ নিজ অবস্থান থেকে সকলকে সচেতন হয়ে করোনা মোকাবেলা করতে হবে।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন সাফায়াত জানান, জেলাব্যাপী বিভিন্ন দেশ থেকে আগত ৯৬২ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এছাড়া সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন একজন। বিভিন্ন দেশ থেকে আগত সাড়ে ৮ হাজারেরও বেশী প্রবাসীর সকলকে হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।