নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরায় মাহিন্দ্রা চালকদের উপর বাস শ্রমিকদের অতর্কিত হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেচে। বুধবার সকাল ১০টার দিকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল সংলগ্ন মাহিন্দ্রা ষ্ট্যান্ডে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতরা জানান, প্রতিদিনের মতো আমরা মাহিন্দ্রা ষ্ট্যান্ডে যাত্রীসেবার লক্ষ্যে অবস্থান করছিলাম। সকাল ১০টার দিকে সাহেব আলী, শাহিন ও বাবুর নেতৃত্বে একটা বাসে করে সংঘবদ্ধভাবে ২০/২৫ জন বাস শ্রমিক এসে লাঠি দিয়ে মাহিন্দ্রা চালকদের উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে মারধর করে। এঘটনার পর পরই উক্ত বাস শ্রমিকরা নিউ মার্কেটস্থ মাহিন্দ্রা ষ্ট্যান্ডেও অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বাস শ্রমিকদের পৃথক হামলায় সাতক্ষীরা জেলা অটোরিক্সা-অটোটেম্পু শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সানাউল্লাহ বাবু ও সাধারণ সম্পাদক অলিউর রহমান মুকুলসহ ৮ জন আহত হয়েছে। অন্যান্য আহতরা হলেন সাঈদ, আরাফাত, বিপ্লব, সঞ্জয়, আব্দুস সেলিম, মফিজুল। এসময় আহ্ছানিয়া জামে মসজিদের নিচে সোনালী ডিজিটাল ষ্টোর এ মাহিন্দ্রা চালকরা বসে থাকায় বাস শ্রমিকরা দোকান মালিক হুমাউন কবিরকে মারধর ও দোকানের জিনিসপত্র ভাংচুর করে। হামলায় আহতরা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ও স্থানীয় ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়। এব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান জেলা অটো রিক্সা-অটো টেম্পু মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক গাউস সরদার।
সাতক্ষীরা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমানের কাছে এ বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাতক্ষীরায় সম্প্রতি ইজিবাইক, ব্যাটারি চালিত ভ্যান, ইঞ্জিনভ্যান, মাহিন্দ্রা, গ্রামবাংলাসহ বিভিন্ন যানবাহনের সংখ্যা ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে। এতে করে ছোট্ট এ শহরে প্রতিদিন ঘন্টার পর ঘন্টা যানজট লেগেই থাকে। তাছাড়া মাত্রারিক্ত এসব যানবাহনের কারণে বাসগুলো যাত্রী শূন্য হয়ে পড়েছে। বুধবার সকালে যাত্রী ধরা নিয়ে বাস শ্রমিকদের সাথে ইজিবাইক চালকদের মারামারি হলে শ্রমিকরা বাস চলাচল বন্ধ রাখে। পরে বাস আবারও চালু করা হয়েছে।
এদিকে সকালে কোন প্রকার পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই আকস্মিকভাবে সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়কে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় বাস শ্রমিকরা। এতে বিপাকে পড়েন চলতি পথের যাত্রীরা। আশাশুনিগামী যাত্রী রেজাউল ইসলাম, জোহরা খাতুন, শুভেন্দু সরকারসহ কয়েকজন জানান, সাতক্ষীরা থেকে আশাশুনির চাপড়া পর্যন্ত ভাড়া ৩৮টাকা। অথচ বাস চলাচল বন্ধ থাকার কারণে যানবাহন ভেদে সেই ভাড়া দিতে হচ্ছে ৮০ থেকে ১৫০টাকা। হঠাৎ বাস চলাচল বন্ধ হওয়ায় যাত্রী হয়রানী চরমে পৌছেছে বলে জানান তারা।