
প্রধান প্রতিবেদক: ফলমূলের থেকেও বেশী দামে বিক্রি হচ্ছে পেয়াজ। সাতক্ষীরার পেয়াজের বড় মোকাম শহরের সুলতানপুর বড় বাজার। রোববার বাজারে পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৩০-৪০ টাকা কেজি দরে। পচা পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২শ টাকা প্রতি কেজি।
অন্যদিকে, একই বাজারে ফূলমূলও বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে কোন ফলের দামই পেয়াজের উর্দ্ধে নয়। বাজারে ডালিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২০০-২২০ টাকা, আপেল ১১০-১৩০ টাকায়, আঙ্গুর ১৮০ টাকা, কমলা লেবু বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায় আর পেয়ারা ৪৫ টাকা প্রতি কেজি।
সুলতানপুর বড় বাজারের ফল ব্যবসায়ী তুহিন জানান, বর্তমানে পেয়াজের থেকেও ফলমূলের দাম অনেক কম। কোন ফলের দাম প্রতি কেজি ২৪০ টাকা নেই। সর্বোচ্চ ডালিমের দাম বেশী। ডালিম বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকা কেজি দরে।
অন্যদিকে, বড় বাজারের পেয়াজ ব্যবসায়ী আসাদুল ইসলাম বলেন, প্রতি কেজি পেয়াজ পাইকারি বিক্রি করছি ২১০-২২০ টাকায় আর খুচরা বাজার বিক্রি হচ্ছে ২৩০-৪০ টাকায়। বাজারে আমদানি কম যার কারণে পেয়াজের দাম বেশী। পেয়াজ সরবরাহ স্বাভাবিক হলে দামও কমে যাবে।
সাতক্ষীরার ভোমরা বন্দরের ব্যবসায়ীদের সংগঠণ সিএণ্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধরণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম বলেন, দেশের পেয়াজের চাহিদার বড় অংশ আমদানি হয় ভারত থেকে। বর্তমানে ভারত সরকার থেকে পেয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। যার কারণে পেয়াজের মূল্য দারুনভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারতীয় পেয়াজ আমদানি না হলে পেয়াজ ২০০ টাকার কম দামে আর পাওয়া যাবে না। এছাড়া দেশীয় পেয়াজ বাজারে আসলে তখন কিছুটা দাম কমে যাবে।
এদিকে, পেয়াজের মূল্য স্বাভাবিক রাখতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।