আকরামুল ইসলাম: করোনা পরিস্থিতিতে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ছাড়া বন্ধ রয়েছে দোকানপাট। নরসুন্দরেও দোকান বন্ধ। দোকান বন্ধ থাকলেও বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে মানুষের চুল, দাড়ি কাঁটছেন নরসুন্দররা।
জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না সচেতন মানুষরা। চুল, দাড়ি কেঁটে নিজেকে সুন্দর করতে পারছেন না ঘরবন্ধিরা। এরই মধ্যে গ্রামাঞ্চলে হিড়িক পড়েছে টাক হওয়ার।
সাতক্ষীরার তালা সদরের শাহপুর বাজারে চুল, দাড়ি কাঁটেন নরসুন্দর অসিত দাস। করোনা পরিস্থিতিতে দোকানবন্ধ এই নরসুন্দরের। তবে প্রয়োজনে বিভিন্ন মানুষ মোবাইল কলের মাধ্যমে বাড়িতে ডেকে নিয়ে তার মাধ্যমে চুল, দাড়ি কাটছেন।
দুইদিন আগে টাক হয়েছেন শাহপুর গ্রামের খায়রুল বাসার বাবু। তিনি জানান, করোনার কারণে বাড়ি থেকে বের হচ্ছি না। নিরিবিলি সময়ও কাঁটতে চাই না। ফেসবুক, টিভি ও বাড়ির আনুসঙ্গিক কাজ করে সময় পার করছি। মোবাইল ফোনে নাপিত বাড়িতে ডেকে এনে অবসরে বসে টাক হয়েছি। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আগেই চুল উঠে যাবে। আমাদের এলাকার অধিকাংশ মানুষ টাক হয়েছেন।
সাতক্ষীরা সদরের আমতলা এলাকার বাসিন্দা প্রিন্সিপাল মনিরুজ্জামান। শুক্রবার তিনিও টাক হয়েছেন। তিনি বলেন, আমার আত্নীয় স্বজন সকলেই টাক হয়েছেন সেটি দেখে আজ (শুক্রবার) আমিও হয়েছি। টাক হওয়া স্বাস্থ্যকরও বটে।
এদিকে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে চুল, দাঁড়ি কেটে দেওয়া শাহপুর বাজারের অসীত দাস জানান, করোনার কারণে দোকানবন্ধ। কোন রোজগার নেই। এখন বাড়িতে বসে অনেকেই মোবাইল ফোনে ডাকছেন। তাদের চুল, দাড়ি কেঁটে দিয়ে রোজগারের টাকায় সংসার চলছে খুব কষ্টে। কোন সরকারি সহযোগিতা এখনো পায়নি।
তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.ইকবাল হোসেন জানিয়েছেন, প্রকৃত যাদের বাড়িতে খাদ্য সামগ্রী ফুরিয়ে যাবে তারা যে কেউ যোগাযোগ করলে তাদের খাদ্য সামগ্রী দিয়ে সহযোগিতা করা হবে। করোনা পরিস্থিতিতে এ সহযোগিতা চলমান রয়েছে।