আকরামুল ইসলাম: করোনার কারণে বন্ধ দোকানপাট, পরিবহন, বিধি নিষেধ চলাফেরায় যার কারণে বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ । এই পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন সাতক্ষীরায় পত্রিকা বিলিবন্টনের কাজে নিয়োজিত সংবাদপত্র বিক্রেতারা। পত্রিকা বিক্রি না হওয়ায় টাকা নেই, না খেয়ে দিন পার হচ্ছে অধিকাংশ পত্রিকা বিক্রেতার।
সাতক্ষীরা শহরে ত্রিশ বছর ধরে পত্রিকা বিলিবন্টনের কাজে নিয়োজিত রয়েছেন সাবান আলী। পত্রিকা বিলিবন্টন করেই পরিবার পরিজন নিয়ে সংসার চলে তার। তবে এখন সংসার আর চলছে না এই পত্রিকা বিক্রেতার।
সাতক্ষীরা হকার্স ইউনিয়নের সভাপতি সাবান আলী জানান, গত ২৬ মার্চের পর থেকে ঢাকা থেকে সাতক্ষীরায় একটি দুইটি পত্রিকা ছাড়া বাকি কোন পত্রিকা নিয়মিত আসছে না। শহরের দোকানপাট বন্ধ। লোকাল পত্রিকা আটটির মধ্যে চারটি বন্ধ হয়ে গেছে। কোন রোজগার নেই। মারাত্নক অসহায় হয়ে পড়েছি তবে এখনো কোন সাংবাদিক নেতা খোঁজটুকুও নেয়নি। অথচ আমাদের মাধ্যমেই তাদের নামটি ছড়ায়।
তিনি বলেন, পত্রিকা বিলিবন্টনের কাজে জেলা সদরে ২৫-২৬ জন আমরা নিয়োজিত রয়েছি। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে আরও ২৫-৫০ জন। সকলেই খুব দূর্দিনের মধ্যে পড়েছি।
অপরপত্রিকা বিক্রেতা সরোয়ার হোসেন বলেন, বাড়িতে খাবার নেই। পরিচিত কয়েকজনকে বলেছি। এখনো কেউ সাড়া দেয়নি।
জেলার সাতটি উপজেলায় পত্রিকা বিলিবন্টনের কাজে নিয়োজিত রয়েছেন কমপক্ষে দেড় শতাধিক কর্মী।
জেলা তালা সদরের পত্রিকা বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম জানান, তালায় দশ কপি প্রথম আলো পত্রিকা ছাড়া আর কোন পত্রিকা আসছে না। পত্রিকা না আসায় বিক্রিও নেই, টাকাও নেই। খুব দূর্দিনের মধ্যে পড়েছি।
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোজাফফর রহমান বলেন, পত্রিকা বিক্রেতাদের দূরাবস্থার বিষয়ে কোন বিক্রেতা এখনো আমাকে কেউ জানায়নি। প্রকৃত যারা দূর্দিনে পড়েছেন তারা যোগাযোগ করলে প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।