নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরায় এন আই এ্যাক্টের মামলা থেকে বাঁচতে ভূঁয়া জিডি তৈরী করে আদালতে জমা দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে আদালতে বাদীপক্ষ থানার সাধারন ডায়েরীর বিষয়টি সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তদন্তের আবেদন করলে আদালত সংশ্লিষ্ঠ থানার ওসিকে তদন্তের নির্দেশ দিলে তদন্তকারি কর্মকর্তা ওই সাধারণ ডায়েরীটি হারানো বা পাবলিক ডায়েরি না মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
সুত্রে প্রকাশ, সাতক্ষীরার কলারোয়ার ভাদিয়ালি গ্রামের মৃত অজিয়ার সরদারের ছেলে লুৎফর রহমানের প্রাপ্য অর্থ আদায়ের জন্য আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ইসলামী ব্যাংকের কলারোয়া শাখায় চেক ডিজি ওনার করে সাতক্ষীরার চীফ কোর্টে বড়ালী গ্রামের মৃত সামছের সরদারের ছেলে আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে একটি সি.আর৭১/১৮ নংএন আই এ্যাক্টের মামলা দাখিল করলে আদালত শুনানীন্তে আসামীর বিরুদ্ধে সমন জারী করলে আসামী আদালতে হাজির হয়ে প্রাথমিক জামিন গ্রহন করেন। এরপর মামলাটি স্থানান্তর হয়ে জর্জ কোর্টে চলে আসলে এস সি১২৩৫/১৮ নং মামলার বয়স তিন বছর প্রায়, সে সময় হঠাৎ আসামী আব্দুর রাজ্জাক আদালতে বাদীর দাখিলকৃত চেকের বিরুদ্ধে কলারোয়া থানার একটি হারানো সাধারণ ডায়েরী যার নং-২৭১, তারিখ- ০৮এপ্রিল ২০১৫ দাখিল করেন। মামলার বাদী লুৎফর রহমান থানার সাধারন ডায়েরীর বিষয়টি সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তদন্তের আবেদন করলে আদালত ৪১০/ফৌঃ স্মারকে কলারোয়া থানার ওসিকে তদন্তের নির্দেশ দিলে তদন্তকারি কর্মকর্তা এস আই মোঃ আবু সাঈদ তদন্ত শেষে ২৪ নভেম্বর ২০২১তারিখে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। আদালতে দাখিলকৃত প্রতিবেদনে দেখা যায়, তদন্তকারি কর্মকর্তা এস আই মোঃ আবু সাঈদ কলারোয়া থানার ০৮এপ্রিল ২০১৫তারিখের ২৭১নং সাধারণ ডায়েরীটি এ.এস.আই মামুন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে কয়েকজন আসামীকে কলারোয়া থানা থেকে সাতক্ষীরা আদালতে নিয়ে যায়। বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ ও চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় এলাকার গুণিজন এবং জেলার আদালত পাড়ায়।
সুত্রে জানাযায়, মামলার আসামী আব্দুর রাজ্জাক মামলার বাদীর প্রাপ্য অর্থ না দিতে থানার সীল ও ডিউটি অফিসারের স্বাক্ষর জাল তৈরী করলো! নাকি বিবাদি আব্দুর রাজ্জাকের সাথে এত বড় ধরনের জালিয়াতির পিছনে কোন চক্র কাজ করছে।
এ বিষয়ে জানার জন্য কলারোয়া থানার ০৮এপ্রিল ২০১৫তারিখের ২৭১নং সাধারণ ডায়েরীর সত্যতা যাচাইয়ের তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মোঃ আবু সাঈদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি যে পূর্ণাঙ্গ তদন্তে যা পেয়েছি সেটাই দিয়েছি। অর্থাৎ কলারোয়া থানার ০৮এপ্রিল ২০১৫তারিখের ২৭১নং সাধারণ ডায়েরীটি আসামী চালানের জন্যই ছিল।
এ বিষয়ে জানার জন্য বিবাদি আব্দুর রাজ্জাক‘র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি সাধারণ ডায়েরী করেছিলাম। কিন্তু থানায় বখশির কাছে জিজ্ঞাসা করলে বলে আমরা পিছনের সব পুড়িয়ে দিয়েছি। আর ওসির কাছে শুনলে বলে যে, সব আম্ফান ঝড়ে উড়ে গেছে।
সাতক্ষীরায় এন আই এ্যাক্টের মামলা থেকে বাঁচতে ভূঁয়া জিডি তৈরীর অভিযোগ
পূর্ববর্তী পোস্ট