
নিজস্ব প্রতিবেদক: ছেলেটির নাম ইলিয়াস হোসেন। বাড়ি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের বড়খামার গ্রামে। সে আব্দুল গফ্ফার সানার পুত্র। গত বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) বিকালে অপরিচিত একটি নাম্বার থেকে ফোন আসে তার মোবাইলে। কথা হলে প্রস্তাব দেয় পুরাতন সাতক্ষীরা এলাকায় দেখা করার। সেখান থেকে কৌশলে মোটরসাইকেলযোগে অপহরণ করে নিয়ে যায় সাতক্ষীরা রসুলপুর এলাকায়। নির্জন স্থানে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন চালায় ইলিয়াস হোসেনের উপর। দফায় দফায় মারপিট করে অপহরণকারীরা। নির্মম নির্যাতন চালিয়েও ক্ষ্যান্ত হয়নি তারা। এরপর তারা উলঙ্গ করে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে। এমনকি মারপিট করে ইলিয়াস হোসেন গাঁজা খায় এমন স্বীকারোক্তি নেওয়ার চেষ্টা করে জিম্মিকারীরা। কিছুক্ষণ পরেই ইলিয়াসের ফোন থেকে তার বাড়িতে ফোন করে টাকা নিয়ে আসতে বলে অপহরণকারী চক্র। বাড়ি থেকে লোকজন যাওয়ার কিছুক্ষন পর ইলিয়াস হোসেনকে অচেতন অবস্থায় তাদের সামনে হাজির করা হয়। অপহরণকারীদের নির্মম নির্যাতনে ইলিয়াস হোসেনের সারা দেহ থেতলে ও ফুলে যায়। ফেসবুকের চ্যাট ম্যাসেঞ্জারে অপহরণকারীদের সাথে ইলিয়াস হোসেন উল্টা-পাল্টা ম্যাসেজ দিয়েছে এমন যুক্তি খাড়ার চেষ্টা করলেও সেটার কোন প্রমান তারা দেখাতে পারেনি। অপহরণকারীদের সবার বয়স ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। তবে তারা সবাই মাদকাসক্ত। তবে পুরো বিষয়টি রহস্যজনক।
ইলিয়াস হোসেন জানান, আমার ফেসবুক আইডি নিয়ে গত কয়েক মাস আগে থেকে একটি চক্র হ্যাক করার চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। এটা নিয়ে আমার ব্যবহৃত ফেসবুকেও একটি স্ট্যাটাস দেই। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় আমি একটি জিডিও করি। ওই চক্রই আমার ফেসবুক থেকে কিছু ঘটিয়েছে কিনা আমি বুঝতে পারছি না। আমি তাদের কাউকে চিনি না। তবে চক্রটি আমার কাছে যে মোবাইল নাম্বার দিয়ে ফোন করেছিল সেটা সংরক্ষন করে রেখেছি।
এতকিছুর পরও ইলিয়াস হোসেন একটি মাত্র পুত্র এইভেবে তার পরিবার অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে চান না। তবে এ ঘটনার তারা বিচার দাবী করেন। ঘটনার পর থেকে তাদের পরিবার আতংকিত হয়ে পড়েছে।